সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তার প্রমাণ পাওয়া যায় এই দেশের ঈদ ও দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন উৎসব দেখলে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মণিপুরী থিয়েটারের স্টুডিও নটমণ্ডপের নবনির্মিত অত্যাধুনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। এটি আরো তরান্বিত করতে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় স্থানে সীমান্ত হাট হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মণিপুরীদের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বিশেষ করে মণিপুরী থিয়েটারের নাটক দেশ ও দেশের বাইরে খ্যাতি লাভ করেছে। তাদের নাট্যচর্চার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ভারতীয় হাইকমিশন ঘোড়ামারায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি মণিপুরী থিয়েটারের স্টুডিও নটমণ্ডপ নির্মাণ করে দিয়েছে। এই নটমণ্ডপে আরো প্রচুর কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজেও ভারতীয় হাইকমিশন মণিপুরী থিয়েটারের পাশে থাকবে।
মণিপুরী থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান কবি ও নাট্যকার সুভাশীষ সমীর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী, প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণমুর্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের অধ্যাপক তামান্না রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য দেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রাতে ভারতীয় হাইকমিশনারের সম্মানে মণিপুরী শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। মণিপুরী থিয়েটারের শিল্পীরা একটি নাটক মঞ্চায়ন করেন।