ভারতে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগের পর দেশে ফিরেছেন ২০ বাংলাদেশি। শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে তারা নিজ দেশে ফেরেন।

সাজাভোগের পর দেশে ফেরা বন্দিরা হলেন- বড়লেখার ভোলারকান্দি গ্রামের চান্দ আলী, মোহাম্মদনগর গ্রামের মো. ইব্রাহিম আলী, জুড়ীর সাগরনালের ফারুক মিয়া, জকিগঞ্জের এওলাসার গ্রামের সুজিত চন্দ্র দাস, হাতিধর গ্রামের ইকবাল হোসেন, নয়াগ্রামের শামীম আহমদ, ফিল্লাকান্দি গ্রামের আজিম উদ্দিন, রহিম খাঁর চকের শেখর নমশুদ্র, সিলেটের হেতিমগঞ্জের আহমেদ উদ্দিন, ভদ্রা গ্রামের দেবদাস রবিদাস, কানাইঘাটের জোয়ারীমাটি গ্রামের আব্দুল গফুর, বিষ্ণুনগর গ্রামের বাদল মিয়া, বিশ্বনাথের লালটেকের ইছহাক আলী, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ছায়াদ আলী আমিন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম কাকুরিয়ার রবিন্দ্র দাস, মিটামইনের দিজেন্দ্র চন্দ্র দাস, কুলিয়াচরের শাহ আলী মিয়া, নরসিংদীর পাচদোনার আব্দুল লতিফ, কক্সবাজারের শ্যামল জাল দাস ও আলো রানী জাল দাস।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়জুর রহমান জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদের গ্রেফতার করে সেখানকার বিভিন্ন জেলে পাঠিয়েছিল।

আদালতের বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পরও নানা জটিলতায় তাদের দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়। অবশেষে সব জটিলতা নিরসনের পর বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে তারা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরলেন।

ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বন্দিদের হস্তান্তর করেছে। এ সময় বন্দিদের নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন তাদের স্বজনরা। শনিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা তাদের বাড়ি নিয়ে গেছেন।

আসামের গোহাটিতে বাংলাদেশের নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর ও মৌলভীবাজারের যুবউন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশের বিশেষ প্রচেষ্টায় এসব বন্দি দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরতে পেরেছেন।