ভারতে ‘নেগেটিভ’, বাংলাদেশে ঢুকলেই পজিটিভ

ভারতে করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদপত্র নিয়েও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর একজনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। হিলি ইমিগ্রেশন থেকে ভারত ফেরত ওই বাংলাদেশি নাগরিককে পাঠানো হয়েছে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এ নিয়ে বন্দর এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে ভারতের ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি সেকেন্দার আলী  জানান, রোববার পঞ্চম দিনে ভারত থেকে করোনা নেগেটিভ সনদপত্র নিয়ে ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক এই ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। কিন্তু এদের হিলি ইমিগ্রেশনে অ্যান্টিজেন ড্রপ টেস্টে একজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই বাংলাদেশিকে পুলিশি প্রহরায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম জানান, ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশিকে তাৎক্ষনিক র্যা পিড এমটিআইজেইএন কিটসের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করানোর পর হাকিমপুর উপজেলার এমএম আবাসিক হোটেল, নুরজাহান হোটেল ও ক্যাপিলা হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও অসুস্থ পাসপোর্ট যাত্রীদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার একজন করোনা রোগী পাওয়া গেছে, তাকে  দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পাঁচ দিনে আটকে পড়া ৮০ জনের করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছে।

ভারতে করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশের ফেরত আনার জন্য কলকাতার বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ও করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশের প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। গত পাঁচ দিনে এ ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফেরত এসেছে ৮০ জন বাংলাদেশি।

এদিকে করোনা নেগেটিভ সনদপত্র নিয়েও বাংলাদেশে প্রবেশের পর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় বন্দর এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।

হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, কলকাতার বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ও করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা আসলেও তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়ায় আমরা হিলিবাসী উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

তিনি বলেন, ভারতে করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ দেওয়া হচ্ছে তাতেও কোনো গলদ থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

সূত্র:যুগান্তর