ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে ১৯ যুবক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতে ভাল কাজের আশায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে কিশোরগঞ্জের দুই সহোদরসহ ১৯ বাংলাদেশি যুবক।

ভারতের কারাগারে দীর্ঘদিন কারভোগের পর ফেরত আসা এসব যুবকেরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ষাটকাহন গ্রামের শাহজাহান খানের দুই ছেলে সজিব হোসেন ও দোলন হোসেন, শেরপুর জেলার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন, জয়নাল আবেদিনের ছেলে বিজয় মিয়া, হাসেম আলীর ছেলে মুক্তার মিয়া, চাঁন মন্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, চানমিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, শাহিন মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, জলিলের ছেলে আশিক মিয়া, আফিল উদ্দিনের ছেলে ছমির মিয়া, রেজা উদ্দিনের ছেলে লালমিয়া, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মঞ্জুরুল হক, লালমনিরহাট জেলার আমিনুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার মেরাজ আলীর ছেলে কবির হোসেন, শাহেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, সৈয়দপুর জেলার শারাফাত হোসেনের ছেলে খালিদ বিন খোকন, মাদারীপুর জেলার খালেক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, দিনাজপুর জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম নরসিংদী জেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন সুত্র জানায়, এরা ভালো কাজের জন্য বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ২ বছর আগে ভারতে পাড়ি জমায়।

সেখানে তামিলনাড়ু প্রদেশের ক্রিকুট শহরের আন্থনী গার্মেন্টসে চাকরিও নেয় তারা। কিন্তু বিধিবাম হওয়ায় ওই গার্মেন্টস থেকে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে হজতবাসী হয় তারা।

পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যেমে চেন্নাই কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পর্যায়ের চিঠি চালাচালির মাধ্যমে এক পর্যায়ে তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসার সুযোগ পায়।

ফেরত আসা যুবকদের মধ্যে আশিক মিয়া জানায়, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে ভাল চাকরির আশায় দু’বছর আগে দালালের মাধ্যমে আরও কয়েকজনের সঙ্গে সে সীমান্ত পথে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিন।

তারপর তামিলনাড়ু ক্রিকুট শহরে আন্থনী নামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। সেখান থেকে পুলিশ অন্যদের সঙ্গে তাদের আটক করে চেন্নাই কারাগারে পাঠায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন’র ওসি মহসিন খান পাঠান জানান, ফেরত আসা যুবকদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. শরীফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফেরত আসা যুবকদের থানায় কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এসব কাজ শেষে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হবে।