ভারতে আটককৃত জঙ্গিদের একজনের বাড়ী গোদাগাড়ী

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ সদস্যকে আটক করে ভারতের কোলকাতা পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে আল আমিন ওরফে শাহিন (২৩) রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার বুজরুক রাজারামপুর গ্রামের এক রিকশাচালকের ছেলে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে পার্কিং এরিয়া থেকে মহসিন ও মামুনুর রশিদ নামে দুই বাংলাদেশী জেএমবি সদস্যকে আটক করে কোলকাতা পুলিশ। পরে ওই দুইজনের তথ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে আল-আমিন ওরফে শাহিন ও রবিউল নামের আরেক জেএমবি সদস্যকে আটক করে।

কোলকাতা পুলিশের এসটিএফ এর জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, আটককৃতরা ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য। বাংলাদেশে ব্যাপক অভিযানের কারণে তারা ভারতে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। তারা ফের বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল। কিন্তু তার আগেই কোলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ে।

কোলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃতদের কাছ থেকে ছবি, ভিডিও, মোবাইল ফোন ও আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার বই ও পত্রিকা পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকা সংগ্রহ করে তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করত।

আল আমিন ওরফে শাহিন  মহিশালবাড়ী আল ইসলাহ ইসলামী একাডেমী থেকে ২০১২ সালে এসএসসি ও গোদাগাড়ী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শাহিনের মা জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে পুলিশ আল আমিন ওরফে শাহিনকে আটক করতে বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ শাহিনের ছবি, মোবাইল নম্বর ও বইপত্র নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বাবা জানান, প্রায় এক বছর পরিবারের সঙ্গে শাহিনের কোনো যোগাযোগ ছিল না।

স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে বুজরুক রাজারামপুর গ্রামের আমিজুল ইসলাম রনি পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে সে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়। এই আমিজুল ইসলাম রনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কোলকাতা পুলিশের হাতে আটক আল আমিন ওরফে শাহিনের।

এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আল আমিন ওরফে শাহিনকে আটক করতে পুলিশ তার বাড়িতে কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।

স/শা