পশ্চিমবঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার টানা তিন দশকেরও বেশি সময় (১৯৭৭-২০১১) ক্ষমতায় আসীন ছিল।
বিশ্বের অন্য কোথাও এত সুদীর্ঘ সময় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেনি।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সিপিএমের পার্টি অফিস এখন গোয়ালঘর। পাকা ছাদের তলায় রাখা হয় গোখাদ্য। নিরাপদে আশ্রয়ে থাকে গরুর পাল।
এই চিত্র একসময়ের লালদুর্গ উত্তর২৪ পরগনার সিপিএমের পার্টি অফিসের। যেখানকার নেতা ছিলেন একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মজিদ মাস্টার।
এটি ছিল সিপিএমের বারাসত দক্ষিণ লোকাল কমিটির দপ্তর। কেতাবি নাম অনিল বিশ্বাস স্মৃতি ভবন। ২০০৭ সালে ওই ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
কিন্তু সেই দপ্তর এখন পরিণত হয়েছে গরুর খামারে। দপ্তরের ভেতরে স্তূপাকারে রাখা হয়েছে বিচালি। রয়েছে গোবর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ঘরগুলোতে গরুও রাখেন অনেকে। মো. ইয়াসিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখেছি— এখানে সিপিএমের বড় বড় নেতারা আসতেন। সিপিএমের ঝাণ্ডা উড়ত। বিরোধীদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
কিন্তু এখন সিপিএমের লোকও নেই। কেউ আসে না। দলীয় দপ্তর খোলার মতো লোক নেই। এখানে মানুষ এখন একচেটিয়া তৃণমূল করেন।
বারাসত দক্ষিণের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ অবশ্য বলছেন, ২০১১ সালের পর থেকে যেভাবে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, তাতে স্থানীয় নেতৃত্ব ওখানে থাকতে পারেনি। প্রশাসনেরও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই। সেই কারণে আমাদের পার্টি অফিসগু বন্ধ অবস্থায় পড়ে। তাই হয়তো অনেকে ওগুলোকে গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সূত্রঃ যুগান্তর