ভারতের সঙ্গে বিমান চালুর প্রস্তাব রীভা গাঙ্গুলীর

কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর দফতরে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন রীভা গাঙ্গুলী। এ সময় তিনি প্রতিমন্ত্রীকে দুই দেশের বিমান চলাচল শুরু করতে ভারতের এয়ার বাবলেযুক্ত হওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী এটি চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এয়ার বাবল বলতে দুটি দেশের মধ্যে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও প্রবিধান মেনে ফ্লাইট চালুকে বোঝায়। সম্প্রতি বাংলাদেশকে এয়ার বাবলের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারত। একই বিষয়ে আজ জোর দেন দেশটির বিদায়ী হাইকমিশনার।

সাক্ষাতে রীভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে ভারতের আগ্রহের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের অবদানের কথা বাংলাদেশ সবসময়ই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুই বন্ধু রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে আরও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।’

জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। দিন দিন এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। শক্তিশালী সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।’

মাহবুব আলী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর জনগণের পারস্পরিক ভ্রমণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। পর্যটন ও এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা উভয়ের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’

এ সময় রীভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশে অবস্থানকালে তার সুন্দরবন ভ্রমণের চমৎকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার একটি দেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পর্যটন সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনাও প্রচুর। ভারতীয় অনুদানে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তা সমাপ্তির পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশালসংখ্যক মানুষ তা দেখতে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবে।’

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট-লন্ডন সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত শুরু হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের অধিবাসীদের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করাটা অনেক বেশি সুবিধাজনক হবে।’

জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার এতে একমত পোষণ করেন।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিদায়ী হাইকমিশনারকে প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

এছাড়াও রীভা গাঙ্গুলী ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) হিসেবে পদায়িত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ