ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই: জিএম কাদের

সিল্কসিটিডিনউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ভারত সফর ও সম্পাদিত দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি সম্পর্কে কিছু বিরূপ আলোচনা চোখে পড়েছে। এ বিষয়ে দু’দেশের যৌথ বিবৃতি ও উল্লেখিত চুক্তিগুলোর তালিকা দেখেছি, সেখানে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু চোখে পড়েনি।

রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে পার্টির সাংগঠনিক টিমের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন, পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সদস্য সচিব মো. আবুল কাশেম, ঢাকার আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, বরিশালের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, রাজশাহীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, রংপুরের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, খুলনার আহ্বায়ক সাহিদুর রহমান টেপা, সদস্য সচিব সুনীল শুভ রায়, ময়মনসিংহের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইমাম এমপি, সিলেটের আহ্বায়ক লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এটিইউ তাজ রহমান প্রমুখ।

জিএম কাদের বলেন, ‘দেশে এখন দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাই। তিনি নিজ দলের মানুষকেও ছাড় দেননি। আশা করি, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।’

তিনি বলেন, ‘বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যার বিচার যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, দোষী ব্যক্তিরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়- আমরা সেটাই চাই।’

কাদের বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ কারণে সুশৃঙ্খলভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

তৃণমূলে ‘বিভেদ’ জিএম কাদেরের হাতে প্রতিবেদন: আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেও তৃণমূলে এখনও বিভক্তি রয়ে গেছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘জাতীয় কাউন্সিলের আগে আমরা ১০টি সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে তৃণমূলের নানা মতভেদ ও দ্বন্দ্বের কথা জানতে পেরেছি।’

দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারি দলেও নানা অস্থিরতা রয়েছে। আমাদের সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী করে জনপ্রত্যাশিত রাজনীতি করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়া যাবে।’

পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘দেশের আগামী দিনের রাজনীতিতেও জাপা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের আশা করি না। তবে যেসব আসনে জাপা প্রার্থীর ৮০ কিংবা ৫০ ভাগ জেতার সম্ভাবনা থাকবে, সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই সভা-সমাবেশ করে এরশাদের আদর্শ ও কর্মসূচিগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’