ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ‘বিশেষ কিছু’ করবে না বাংলাদেশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের যুবাদের হারিয়ে পৌঁছে গেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে। মূলত টানা ৯ ম্যাচ জিতে নিজেদের টানা জয়ের রেকর্ড নতুন করে লিখেছেন আকবর আলি-মাহমুদুল হাসান জয়রা।

এটুকুতেই অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি তাদের কাজ। উল্টো বেড়ে গেছে চাপ, সকলের প্রত্যাশা জন্মেছে শিরোপা জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু এ কাজটা মোটেও সহজ হবে না। ফাইনালে টাইগার যুবাদের প্রতিপক্ষ ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল। যারা কি না শেষ ১৮ ম্যাচে হেরেছে মাত্র তিনটিতে, বাংলাদেশের মতোই অপরাজিত রয়েছে চলতি টুর্নামেন্টে।

যার ফলে শিরোপা জেতার জন্য বিশেষ কিছুই করতে হবে আকবর-মাহমুদুলদের। খেলতে হবে নিজেদের সামর্থ্যের শেষ বিন্দুটুকু দিয়ে। তবে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে নামার আগে এসব ভেবে বাড়তি চাপ নিতে রাজি নন বাংলাদেশের সেমিফাইনালের নায়ক মাহমুদুল জয়। তার সেঞ্চুরিতেই ফাইনালের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ।

জয়ের মতে, ফাইনাল বলে বাড়তি চাপ নেয়ার কিছু নেই। বরং বিশেষ কিছু করার চেষ্টা না করে স্বাভাবিক পরিকল্পনাতেই ভালো কিছু হবে বলে বিশ্বাস জয়ের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক পরিকল্পনায়ই খেলবো। ফাইনাল বলে যে বাড়তি চাপ নিতে হবে, তেমন কিছু না। আমরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবো। ইনশাআল্লাহ্‌, ভালো কিছুই হবে।’

এসময় তার ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠায় ইনিংসটিকে বাড়তি মর্যাদা দিয়েছেন জয়। তিনি বলেন, ‘এ ইনিংসটা অবশ্যই আমার জন্য বিশেষ একটা অর্জন। কারণ বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলো। বেশিরভাগ সময়েই আমরা সেমিফাইনাল বা তার আগে বাদ পড়ে যাই। এবারই প্রথম ফাইনালে উঠলাম। তাই এ ইনিংস আমার জন্য অনেক স্পেশাল।’

নিজের ইনিংস গড়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে জানাতে গিয়ে জয় বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি প্রান্ত বদল করে খেলতে। যে পরিস্থিতিই থাকুক, দলে আমার ভূমিকা ছিল দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করা, শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা। প্রান্ত বদল করে খেলে যাওয়া।’