‘ভারতীয় সিনেমা মানেই তো খোলা-মেলা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় সিনেমায় নাচ করতে গেলে নিতম্ব এবং স্তনটাই সব৷ ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতি নিয়ে এমনই অপমানজনক মন্তব্য করেছেন বলিডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ যদিও এই বিষয়টি বছরখানেক আগে বলেছিলেন পিগি চপস৷ কিন্তু সম্প্রতি ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় সকলের নজরে আসে৷ এরপরেই শুরু হয় সমালোচনার৷

নায়িকা বর্তমানে যে ইন্টারন্যাশনাল স্টার তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখে না৷ আর আন্তর্জাতিক মঞ্চেও অভিনেত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই ভীষনভাবে জনপ্রিয় তিনি৷ বছর দুয়েক আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে অভিনেত্রী এমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটে হেঁটে সকলের নজরে এসেছিলেন৷ রেড কার্পেটে কিছুটা হাঁটার পরেই সাংবাদিকরা তাঁকে ছেঁকে ধরেন একাধিক প্রশ্ন নিয়ে। এই সময় একজন তাঁকে বলিউড নিয়ে প্রশ্ন করেন৷ অভিনেত্রী আপ্লুত হয়ে জবাব দিতে থাকেন৷ সেখানে তাঁকে বলিউডের নাচের স্টেপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়৷ উত্তরে অভিনেত্রী জানান “ভারতীয় ফিল্ম মানেই শুধু স্তন এবং নিতম্ব! এখানে নাচতে গেলে সব কিছুই নিতম্ব আর স্তনের মুভমেন্ট হওয়া সবথেকে বেশি জরুরি৷” পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে নিজেও নেচে দেখান অভিনেত্রী৷

ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নায়িকার বিরুদ্ধে কুৎসিত মন্তব্যে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া৷ ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে এরকম মন্তব্য করায় নায়িকার ফ্যানেরাও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলে৷ অনেকের মতেই নায়িকা হলিউড স্টার হয়ে গিয়েছে বলে নিজেকে অনেকে বিশাল কিছু ভেবে নিয়েছেন৷ কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন যে তিনি নেচেই বিখ্যাত হয়েছেন৷ যদিও এসব নিয়ে এখনই অভিনেত্রী পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি৷ তবে অনেকেই হতাশ হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা এহেন মানসিকতার জন্য৷

পাশাপাশি অভিনেত্রী এমনিতেই বেশ কোণঠাসা দেশের মাটিতে৷ সম্প্রতি ‘কোয়ান্টিকো’র লেটেস্ট সিরিজ ‘দ্য ব্লাড অফ রোমিও’ তে এক হিন্দু জাতীয়তাবাদীকে জঙ্গি তকমা দিয়ে দেখানো হয়েছে। আর তাঁকে এই তকমা দেওয়ার সংলাপটি বলেছেন খোদ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অর্থাৎ এফবিআই এজেন্ট ‘অ্যালেক্স প্যারিস’৷ সম্প্রতি এই এপিসোড ঘিরে দেশের মাটিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলের প্রতিক্রিয়ায় আপাতত কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন পিগি চপস। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীকে সমর্থনে এগিয়ে আসে নির্মাতা সংস্থা এবিসি। প্রকাশ্যে তাঁরা ক্ষমা চাইলেও কিন্তু মন গলেনি কারোর। তবে ওই এপিসোডের জন্য এবিসি ক্ষমা চেয়ে বলেছে, “প্রিয়াঙ্কা না পরিচালক, না গল্পের লেখক। ওই এপিসোডে যা দেখানো হয়েছে তাতে অভিনেত্রীর কোনও হাত নেই। কোয়ান্টিকো একটি ফিকশন সিরিজ, মানুষের আবেগকে আহত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।” এদিকে আবার এই সিজনের পরেই বন্ধ হতে চলেছে কোয়ান্টিকো। ভারতে তো দূরে থাক, খোদ আমেরিকাতেই এর টিআরপির অবস্থা মোটেই ভাল নয় সিরিজটির।