ভারতীয় ক্রিকেটারকে মামলার হুমকি সেই সাংবাদিকের

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পড় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেন ঋদ্ধিমান সাহা। সেই পোস্টে ঋদ্ধিমান জানান সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় এক সাংবাদিক তাকে হুমকি দিয়েছিলেন।

ঋদ্ধিমান সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ না করলেও নিজ থেকেই প্রকাশ্যে এলেন সেই সাংবাদিক। এসেই ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দেন ওই সাংবাদিক।

ভারতীয় খ্যাতিমান সেই সাংবাদিকের নাম বোরিয়া মজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পাঠানোর কথা স্বীকার করেন। তার দাবি ঋদ্ধিমান তার মেসেজের দিনক্ষণ বদল করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন ঋদ্ধিমানকে ১৩ ফেব্রুয়ারি মেসেজ করেছিলেন, তার ছয় দিন পর ঋদ্ধিমান ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আপলোড করেন।

এমনকি মেসেজে ঋদ্ধিমানকে তিনি কল করার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারির পর তিনি ঋদ্ধির সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেননি এবং ঋদ্ধিমান স্রেফ সহানুভূতি কুড়ানোর জন্যই এ মেসেজ এতদিন পরে আপলোড করেছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পূর্বপরিকল্পিত দিনক্ষণ অনুযায়ী ঋদ্ধিমান তাকে সাক্ষাৎকার দেওয়া তো দূরের কথা, তার ফোন পর্যন্ত ধরেননি। সে জন্যই তিনি রেগে গিয়েছিলেন।

আর রেগে গিয়েই তিনি ঋদ্ধির আপলোড করা শেষ মেসেজটা করেছিলেন বলে স্বীকার করেন বোরিয়া মজুমদার। এরপরেই ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে তার দীর্ঘ সাংবাদিক কেরিয়ারকে কলঙ্কিত করার জন্য মানহানির মামলা করবেন বলে জানান বোরিয়া মজুমদার। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন সেই সাংবাদিক।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমান সাহা জানান, সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার লিখেছিলেন- আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ করো। তোমার জন্য ভালো হবে। এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজে বোরিয়া লেখেন- বোর্ড একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যারা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।

এরপর ওই সাংবাদিক ফোন করেন ঋদ্ধিমানকে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে লেখেন- তুমি ফোন করলে না। আমি কখনো তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারেই অপমান মেনে নেই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর