ভাবের বিয়ে, কিশোরীর মুখ ঝলসে দিল স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালোবেসে বিয়ে হয় দুজনের। বিভিন্ন কারণে সংসার করতে চাননি স্ত্রী মাহবুবা খাতুন (১৫) । তাই বাবার বাড়িতে থাকতেন মাহবুবা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্রামে বাবার বাড়িতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন মাহবুবা। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের রাণীনগরে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাহবুবা ওই গ্রামের ট্রাক চালক মাবুদ আলীর মেয়ে। বছর দেড়েক আগে ট্রাক হেলপার মুরাদ আলীকে (২৮) পরিবারের অমতে বিয়ে করেন মাহবুবা। গত কয়েক মাস ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না বলে পরিবার জানায়। মুরাদ উপজেলার দেউপাড়া ইউনিয়নের কুমুরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক মুরাদ।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, ভালোবেসে বিয়ে করলেও পরে মাহবুবা মুরাদের সঙ্গে আর সংসার করতে চায়নি। তাই বাবার বাড়িতেই থাকত। বৃহস্পতিবার রাতে মাহবুবা তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে শুয়েছিল। শুক্রবার ভোরে জানালা দিয়ে মাহবুবার মুখে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারা হয়। এতে শুধু মাহবুবা আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরও জানান, মাহবুবা এবং তার মা জানালার পাশ থেকে মুরাদকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। মুরাদ বর্তমানে পলাতক। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওসি যোগ করেন, আমরা ধারণা করছি এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্ত সেটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে এতটুকু বলতে পারি মুখে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছে।

এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, দাহ্য পদার্থে মাহবুবার মুখের বাম অংশ পুরোটা পুড়ে গেছে। এছাড়া গলা ও বাম হাতের কনুই পুড়ে গেছে। পোড়া ক্ষত এসিডের মতোই লাগছে। ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়া এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

স/আ.মি