ভাবমূর্তি ফেরাতে টুইটারে নিজস্ব বাহিনী অ্যামাজনের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নেতিবাচক ভাবমূর্তি ঠিক করতে নিজেদের কর্মীদেরকে দিয়ে টুইটারের বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য করাচ্ছে অ্যামাজন।

এই কাজে ছোট খাটো একটি বাহিনীই গড়ে তোলা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে এফসি অ্যাম্বেসেডরস। যাদেরকে এই কাজে লাগানো হচ্ছে তারা সবাই অ্যামাজনের ফুল টাইম কর্মী। তাদের কাজই হচ্ছে টুইটারে কোম্পানির ব্যাপারে ভালো ভালো কথা বলা। টুইটারে এরকম ১৫ জন কর্মীর অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ফুলফিলমেন্ট সেন্টারে (যেখান থেকে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়) কাজ করার অভিজ্ঞতা সবার কাছে তুলে ধরা তাদের দায়িত্বের মধ্যেই পরে। ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে জানিয়ে আমরা ভালো কাজই করছি।

অ্যামাজনের তরফ থেকেও জানানো হয়, এফসি অ্যাম্বেসেডরদের সবারই ওয়্যারহাউজে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তবে শুধু দায়িত্বের খাতিরে নয় অ্যামাজনের হয়ে গুণগান করার জন্য তাদেরকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে এক রিপোর্টে।

শুধু গুণগানই নয় টুইটারে যারাই অ্যামাজনের নেতিবাচক দিক যেমন ওয়্যারহাউজের কাজ করার পারিশ্রমিক, ওয়্যারহাউজের তাপমাত্রা, কর্মীদেরকে বাথরুম যেতে দেওয়ার বিরতি দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করছেন সেখানেই দেখা যাচ্ছে এফসি অ্যাম্বেসেডরদের। টুইটার ব্যবহারকারীদের সমালোচনার মুখে পরলে তারা একে অপরকে সমর্থন দিতেও হাজির হচ্ছে বিভিন্ন টুইট পোস্টে।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে অ্যামাজনের কয়েক জন কর্মী জানান, তারা বাথরুম যাওয়ারও সুযোগ পান না। একে তো ওয়্যার হাউজগুলো বিশাল আকারের হয়ে থাকে, তার উপর প্যাকেজিংয়ের লক্ষ্য মাত্রা পূরণের চাপে তাদেরকে বোতলের মধ্যেই মুত্র ত্যাগ করতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, অ্যামাজনের উন্নতি পুঁজিবাদের অপব্যবহার। তার একের পর এক টুইট অ্যামাজনকে পুঁজিবাদের খলনায়ক হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

এক টুইট পোস্টে তিনি লিখেছেন, পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ব্যক্তি জেফ বেজসের সম্পদ প্রতিদিন ২৬০ মিলিয়ন ডলার বা ২৬ কোটি ডলার করে বাড়ছে। কিন্তু তার কর্মীদেরকে তিনি এতই কম মজুরি দিচ্ছেন যে তাদেরকে ট্যাক্সপেয়ার তহবিল থেকে খাবার, ওষুধ ও পাবলিক হাউজিংয়ের অর্থ সহায়তা নিতে হচ্ছে। তার টুইটের সূত্র ধরেই যাবতীয় সমালোচনার সূচনা ঘটছে।

এছাড়াও, দ্বিতীয় হেডকোয়ার্টার প্রকল্পের জন্য তারা ট্যাক্স না দেওয়ার উপায় খোঁজা ও খুচরা দোকানগুলোর ব্যবসা করা কঠিন করে তোলার কারণেও সমালোচনার মুখে পড়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন।

ম্যাশেবল ও বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে