‘ভাইরাস বোমার’ ওপর মানুষ, যে কোনো সময় বিস্ফোরণ!

গত এক শতাব্দিতেই মানুষ জাতিকে স্প্যানিশ ফ্লু, এইডস, সার্স, মার্স, ইবোলা, সোইন ফ্লু কত কত ভাইরাসের মোকাবিলা করে যাচ্ছে।

সবশেষ বিশ্বজুড়ে প্রাদর্ভাব ঘটেছে করোনা গোত্রের সার্স-কোভ-২ বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি বা দুইটি নয় ৭ লাখ ভাইরাসের টাইম বোমার ওপর বসে আছে মানবজাতি। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ভাষ্যমতে, মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে ১০ লাখের বেশি ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে, যা যে কোনো ‍সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সাউথ-ইস্ট এশিয়া রিজিয়ন অফিসের কমিউনিকেবল ডিজিজেসের সাবেক পরিচালক রাজেশ ভাটিয়া জানান, প্রায় সাড়ে ১০ লাখ অচেনা ভাইরাসের মধ্যে কমপক্ষে সাত লাখ ভাইরাস যে কোনো রোগ সংক্রমণে সক্ষম। এর মধ্যে মাত্র ২৬০টি ভাইরাস চিহ্নিত করা গেছে।

এখন মানুষের স্বাস্থ্য ও পশুপাখির স্বাস্থ্যের সমস্যাকে আলাদা করে দেখলে হবে না বলে মনে করেন রাজেশ ভাটিয়া । ‘ওয়ান হেলথ’ নীতির মাধ্যমে রোগকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সংক্রমণের শুরুতেই তা আটকাতে হবে। নাহলে বন্যজন্তুর মধ্যে এ রকম আরও অনেক করোনাভাইরাস রয়েছে, যেগুলো থেকে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

গত চার দশকের সার্স-কোভ, মার্স, অ্যাভিয়ান ফ্লু, কেরলের নিপা ভাইরাস, সার্স-কোভ-২ সবই প্রাণিবাহিত রোগ। সংক্রমণের প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ভাইরাসকে চিহ্নিত করার ব্যর্থতাই সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে বলে মনে করেন গবেষকরা্।

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক মারিয়া সোদারলুন্ড ভেনার্মো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাইরাসের টাইম বোমার ওপর বসে রয়েছি আমরা। তার বিস্ফোরণ আটকাতে উহানের মতো বন্যপ্রাণী কেনাবেচার সব বাজার বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে বাদুড়, ইঁদুরজাতীয় যেকোনো প্রাণী এবং হনুমান শিকার করা ও তা খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন। না হলে আরও মহামারির আশঙ্কা রয়েছে।’

সুত্রঃ সময়