ভবানীগঞ্জে পৌরসভায় ডাষ্টবিন স্থাপন

বাগমারা প্রতিনিধি:
পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়তে ভবনাীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় শুরু হয়েছে ডাষ্টবিন স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম। ইতিমধ্যে পৌরসভার ৫ নং ওয়াডে পরীক্ষামূলক ভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের মতে পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পের সুফল পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মহল্লায় ডাষ্টবিন প্রকল্প সম্প্রসারন করা হবে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গতমাসে ডাষ্টবিন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে পাঁচটি আধুনিক ডাষ্টবিন স্থাপন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা চত্তরে আগত লোকজন ওই সব ডাষ্টবিন গুলো ব্যবহার শুরু করেছে। প্রতিদিন পৌরসভার তত্বাবধানে ডাষ্টবিনগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হলেও বাসিন্দাদের অনেকেই এই ব্যবস্থার পরিবর্তে ভ্রাম্যমান ডাষ্টবিন সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন।
ভবানীগঞ্জ মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার বিরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, মহল্লার আনাচে কানাচে  স্থায়ী ডাষ্টবিন তৈরি করা হলে এক সময় সেগুলো পরিস্কারের অভাবে সেখানে ময়লার স্তুপ জমে এক সময় দূর্গন্ধ ছড়াবে। তখন ওই ডাস্টবিন গুলো পরিস্কারের জন্য পৌরসভাকে বলে আর লোক পাওযা যাবে না। তিনি স্থায়ী ডাষ্টবিনের পরিবর্তে ভ্রাম্যমান গাড়ি ডাস্টবিন দেওয়ার দাবী জানিয়ে বলেন, স্থায়ী ডাষ্টবিন তৈরি করে এতে পৌরসভার অর্থেরই তছরুপ করা হবে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
তবে এ দাবীকে ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী লিটন মিয়া বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করা হচ্ছে। গাড়ি দিয়ে ভ্রাম্যমান সিষ্টেমে ময়লা অপসারন একটি বড় প্রকল্প। পৌরসভার সেই সক্ষমতা এখনো আসেনি। আমরা ওই প্রকল্পের বরাদ্দর জন্য আবেদন করেছি।  আগামীতে  বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এখানে ময়লা অপসারনের আরো উন্নত ও আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হবে।
এ ব্যাপারে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, আমরা পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে এই ডাস্টবিন স্থাপন করেছি। এই প্রকল্পে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

 

স/আ