ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় চায় বিজিএমইএ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মিত ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে বিজিএমইএর আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আরও এক বছরের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি কার্যতালিকায় আসেনি। এ বিষয়ে আগামী মাসের প্রথমদিকে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি। এ মামলায় হাইকোর্টে অ্যামিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করা অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, তিনি আবেদনের ব্যাপারে শুনেছেন। তবে সেটি তালিকায় আসেনি। গত বছরের ৮ অক্টোবর ভবন ভাঙতে আদালতের দেয়া নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই সময় চেয়ে আবেদন করল বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। গত ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে পোশাক রফতানিকারকদের এ সংগঠনকে আরও সাত মাস সময় দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সে হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল আদালতের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে।

রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত বছরের মার্চে বিজিএমইএর আবেদনে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দিয়েছিল, যা শেষ হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকেই নতুন করে সাত মাস গণনা শুরু হয়। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিল হাইকোর্ট। ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলে। সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমি বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ সেপ্টেম্বর টাকা পরিশোধ করে সেই জমির দলিল বুঝে পেয়েছে বিজিএমইএ।

যুগান্তর