বড়াইগ্রামে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর চুল কেটে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে কাঁচি দিয়ে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেয়াসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

রোববার এ ঘটনার পর ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনসহ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রউফ, বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তহিদুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫০ জন ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলোভাবে কেটে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। পরে এ সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

একই সঙ্গে তারা বিদ্যালয়ের আট একর জমি লিজ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ তসরুপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক পুলিশি পাহারায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।