ব্রেওনা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না আনায় বিক্ষোভ

কেন্টাকির লুইসভিলে বুধবার বিক্ষোভকালে গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

 

গত মার্চে পুলিশের গুলিতে ব্রেওনা টেইলর নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীর নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারে আদালতের ব্যর্থতার অভিযোগে এই বিক্ষোভ হয়েছে। নাগরিক অধিকার কর্মীরা এই প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন।

প্রধান বিচারকের সিদ্ধান্তে বলা হয়, টেইলরের বাসায় প্রাণঘাতী অভিযানে জড়িত তিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী না। তবে প্রতিবেশীর জীবন বিপন্ন করায় এক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জরুরি চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ ও নার্স হতে যাওয়া টেইলকে হত্যার ছয় মাস পর এই অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। সেদিন মাদক পাচারের তদন্তে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে তার বয়ফ্রেন্ডের সামনেই ২৬ বছর বয়সী এই নারীকে হত্যা করে।

ব্রেওনা টেইলর হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সদস্যদের অভিযুক্ত করা হবে কিনা, এ বিষয়ক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার সেখানে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।

মেয়র গ্রেগ ফিশার রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করলেও অনেক এলাকায় রাত ৯টার পরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশির পরে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আমরা জানি, সহিংসতার জবাব কখনোই সহিংসতা হতে পারে না। আমরা এখন ওই দুই কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা ভাবছি। আমি সবার প্রতি অনুরোধ করছি, দয়া করে বাড়ি ফিরে যান।

ব্রেওনার আত্মীয়স্বজন এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা মার্চে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছিলেন।

বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনার পর গ্র্যান্ড জুরি অ্যানি ও’কনেল কেবল ব্রেট হ্যানকিনসনের বিরুদ্ধে হালকা অপরাধের অভিযোগ এনেছেন, বাকি দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর