ব্রিটিশ আইএস সদস্যদের সন্তানদের যুক্তরাজ্যে ফিরতে দেওয়া হবে না

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিরিয়ায় আটকা পড়া ব্রিটিশ ইসলামিক স্টেট (আইএস) সদস্যদের সন্তানদের যুক্তরাজ্যে ফিরতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দি ইনডিপেনডেন্ট সংবাদ প্রকাশ করেছে।

বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন শিবিরে কমপক্ষে ৩০ ব্রিটিশ শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে আটক আছে। ধসে যাওয়া আইএস খেলাফত থেকে পালানোর সময় তাদের আটক করা হয়।

বিপজ্জনক ও ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলো থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ ও ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চাপের মুখে আছে ব্রিটিশ সরকার।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ কিশোরী শামীমা বেগমের ছেলেশিশু এমন একটি শিবিরে আসার পরই মারা যায়। শামীমা বেথনেল গ্রিনের বাড়ি থেকে পালিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছিল।

এ ঘটনার পর তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছিলেন, এসব শিশুকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়ে সরকার কাজ করছে। কিন্তু দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের মন্তব্য ছিল, সিরিয়া থেকে শিশুদের আনতে কর্মকর্তাদের পাঠানো হতে পারে অনেক বিপজ্জনক। যদিও এসব শিবিরে ব্রিটিশ সাহায্যকর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

ইউরোপের কয়েকটি দেশ আটকা পড়া শিশুদের প্রত্যাবাসন করেছে। ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে ও ডেনমার্ক অল্প সংখ্যক শিশুকে ফিরিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই খেলাফতের শেষ সময়ে বাবা-মা মারা যাওয়ায় এতিম হয়ে পড়ে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াও তাদের আইএসের হয়ে লড়াই করা দুই নাগরিকের আট সন্তান ও নাতি-নাতনিকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।

আইএস খেলাফতের শেষ সময়ে পালানো প্রায় সাত হাজার নারী ও শিশু সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের শিবিরে আটক আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সমর্থিত এ বাহিনীর হাতে প্রায় ৮০০ ইউরোপীয় আইএস যোদ্ধাও বন্দি আছেন।