তার ক্যারিয়ারটাই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। বারবার থমকে গেছেন ইনজুরির হানায়। অনেকেই ভেবেছেন, এই বুঝি ক্যারিয়ারটা শেষ হলো! কিন্তু প্রতিবারই সব বাঁধা দূরে ঠেলে বিপুল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৭ বছর বয়সেও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের নয়নের মণি ঠিক আগের মতোই আছেন। যখনই তার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তখনই ঘুরে দাঁড়ান। পায়ে অসংখ্য ব্যান্ডেজ নিয়েই ঝড় তোলেন ২২ গজে। আজ যেমন বঙ্গবন্ধু কাপে ৫ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে।
শুরুতেই সৌম্য সরকার আর লিটন দাসকে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করে দেন ম্যাশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাশরাফিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন লিটন। তার শেষ বলটি তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন সৌম্য। ‘গোল্ডেন ডাক’! অন্যপ্রান্তে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি সাজিয়ে বসেছিলেন লিটন দাস। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে না থামালে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে- এটা ভালোই জানতেন ম্যাশ এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ ওভারে আবারও বল হাতে মাশরাফির আগমন। প্রথম বলে মাহমুদুল স্ট্রাইক বদল করেন। পরের বলটি স্লগ করতে গিয়েছিলেন লিটন, স্টাম্পে লেগে ক্লিন বোল্ড।
এই শিকারের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন মাশরাফি। চট্টগ্রামের তৃতীয় উইকেটও পতন হয় মাশরাফির হাত ধরে। তার বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচ নেন শুভাগত হোম। ২৭ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন মাহমুদুল। মাশরাফির চতুর্থ শিকার দারুণ ব্যাটিং করা শামসুর রহমান (১৮)। উইকেটের পেছন থেকে চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন বদলি উইকেট কিপার হিসেবে নামা এনামুল হক বিজয়। যে মানুষটি ৪ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন, আর একটি না নিলে অন্যায় হয়ে যায়। তাই ম্যাশ একই ওভারে পঞ্চম শিকার হিসেবে তুলে নেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে (০)। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রানে ম্যাশের শিকার ৫টি! এটাই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ