ব্যাংককে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় বরণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাকে রাজকীয় কায়দায় বরণ করে থাই সরকার। শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধান সফর করলেন।

বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা আট মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল চুমফোন ক্লোইপায়ান।

পরে বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।

এর আগে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সরকারি সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল তার সফরের সময় শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে; সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২৬ এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সাথে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও পর্যটন সহযোগিতা, শুল্ক সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্মতিতে সইয়ের কথা রয়েছে।

পরে থাই রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। যেটিকে দুই দেশের সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন বলে মনে করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়নসহ নানা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিস্তারিত আলোচনা হবে।