বোর্ড-কোহলির ‘দূরত্বে’ বিরক্ত গাভাস্কার!

এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে সরানো নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। জানিয়েছেন, তাকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বোর্ডের কেউই বারণ করেননি। এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকার দল বেছে নেওয়ার মাত্র ৯০ মিনিট আগে তাকে ফোন করে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।

বোর্ড এবং কোহলির মধ্যে এই যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাতে বিরক্ত সুনীল গাভাস্কার। সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মনে করছেন, সৌরভের উচিত এই অস্বচ্ছতা দূর করে মুখ খোলা এবং সবার সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করা।

দেশটির এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেছেন, ‘কোহলির বক্তব্যে বোর্ডকে অকারণে টানার দরকার নেই। ও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কথাগুলো বলেছে, যে দাবি করেছিল তার সঙ্গে কোহলির কথা হয়েছে। হ্যাঁ, সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি। তাই ওকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত কেন দু’জনের কথার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এই মুহূর্তে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওই সব থেকে ভাল লোক।’

গাভাস্কার মনে করেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গোটা বিষয়টির খোলসা করতে পারে বোর্ড। তার কথায়, ‘জল্পনা যাতে না হয়, তার জন্য স্বচ্ছভাবে বার্তা দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের উচিত নিজে এগিয়ে এসে কেন কেউ বাদ গেল বা কেন কাউকে দলে নেওয়া হলো সেটা পরিষ্কার করা উচিত। একটা প্রেস বিবৃতিও জারি করে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে।’

তবে গাভাস্কারের মতে, যদি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান কোহলির সঙ্গে কথা বলে থাকেন, তা হলে সমস্যার কিছু নেই। গাভাস্কারের কথায়, ‘অন্তত সংবাদমাধ্যম থেকে বা বিমানে বসে পাইলটের থেকে তো একথা কোহলি জানেনি। যদি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ওকে ফোন করে অধিনায়ক থেকে সরানোর কথা জানায়, তাহলে আপত্তির কী আছে?’

যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা একই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কোহলিকে অন্ধকারে রেখে কিছুই করা হয়নি। কোহলির সঙ্গে নাকি সেপ্টেম্বর মাসেই কথা বলে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন