বোরোয় লাগাম ডেকে আনবে খাদ্য সংকট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অন্যান্য মৌসুমে চাষ হওয়া ধানের চেয়ে বোরো মৌসুমে ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকদের কাছে এখনো বোরো ধান চাষের আগ্রহ বেশি। এ ছাড়া হাওর, চরসহ দেশের বেশ কিছু এলাকার জমি একফসলি। বোরো মৌসুম ছাড়া অন্য কোনো মৌসুমে ওই সব জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। কিন্তু শ্রমিক সংকট, অধিক উৎপাদন খরচ, ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ নানা সংকটে ইদানীং বোরো ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে দেশের অনেক জেলার কৃষক। আবার সরকারের পক্ষ থেকেও বোরো মৌসুমে ধান চাষে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে কৃষকদের। এ নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।

 

তাঁরা বলছেন, দেশের প্রধানতম খাদ্যের সবচেয়ে বেশি জোগান আসে বোরো ধান থেকে। এই বোরো ধান চাষে লাগাম টেনে ধরার মতো কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কৌশল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বোরো আবাদে লাগাম না টেনে সেচের পানি সহজলভ্য করা এবং আগাম বন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষার লক্ষ্যে নদী-খাল-বিল খনন করা, সেচের খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া, উৎপাদন মৌসুমের শুরু থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) গত বছর দেশের ১১টি জেলার বোরো ধান চাষ নিয়ে জরিপ চালিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, বোরোর চাষ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে।

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজমুল ইসলাম সম্প্রতি ব্র্যাকে কৃষি খাত ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে কৌশল নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় বলেন, ‘আমরা এখন বোরো ধান চাষাবাদে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছি, কারণ এই ধান অনেক বেশি পানি খায়, সেচের জ্বালানি খায় বেশি আবার সার-কীটনাশকও বেশি খায়। সব মিলিয়ে বোরোর উৎপাদন ব্যয় বেশি। উৎপাদন খরচ ওঠাতে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। বরং এর তুলনায় ভুট্টা বা গমজাতীয় ফসলে লাভ বেশি। আর ভুট্টার প্রচলনও দেশে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এটা ভাতের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। দেশে এখন উন্নত বিশ্বের মতোই বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত ভুট্টাসামগ্রীর খাদ্য পাওয়া যায়। ’

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা কয়েক বছর বোরো আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশের কোথাও কোথাও কৃষকরা ধানি জমি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে মাছ চাষের জন্য। মাছচাষিরা ওইসব জমিতে পুকুর কাটছে।

 

তবে বোরো চাষের লাগাম টেনে ধরার মতো কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কৌশল দেশের প্রধানতম খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই নানা সমস্যার কারণে কৃষকরা বোরোর প্রতি অনেক এলাকায়ই আগ্রহ হারাতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে বোরোকে নিরুৎসাহিত করার মতো কোনো প্রক্রিয়া শুরু হয় তবে আগামী দুই-চার বছরের মাথায় আবার দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সেই সংকট বোরোর বিকল্প কোনো ফসল থেকে কাটানো যাবে না। ’

 

ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশে চালের বড় জোগান আসে বোরো মৌসুমে। তাই সরকারের উচিত বোরো ধান চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া। তাহলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বোরো মৌসুমে সারা দেশে স্থানীয় জাতসহ সব ধরনের ধানের আবাদ কম হয়েছিল। আর এ বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রাই ধরা হয়েছে কম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাত মিলিয়ে মোট ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬১.৩৩ শতাংশ সাফল্য হারে চাষাবাদ হয়েছে ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমিতে। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালে বোরো ধান চাষ হয়েছিল ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে। অথচ ডিএইর হিসাবেই ২০১৪-১৫ সালে বোরো চাষ হয়েছিল ৪৮ লাখ ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে।

 

‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার ওপর ধানের জমি হ্রাসের কারণ বিশ্লেষণ’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে গত বছর ব্রি বলেছিল, ২০১৪-১৫ সালে ৪৮ দশমিক ৪৬ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। আর উৎপাদন হয় এক কোটি ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন চাল। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালে বোরো চাষ হয়েছে ৪৬ দশমিক ৬১ লাখ হেক্টর জমিতে।

 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বোরোর আবাদি জমি কমার এই হার রোধ করা না গেলে ২০২০ সাল নাগাদ দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। প্রতিবেদন মতে, দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। দেশের মোট চালের প্রায় ৫৬ শতাংশ এই বোরো মৌসুমের। তবে জমির ভাড়া, শ্রমিকের মজুরি, সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ১৯৯০ সালের পর থেকে ধানের উৎপাদন খরচ প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। অথচ সে অনুপাতে ধানের দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে দেশের বেশির ভাগ জেলার কৃষকরা বোরো ধান আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

 

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফসল উৎপাদন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. হানিফ মোহাম্মদ বলেন, এটা ঠিক যে বোরো আবাদে খরচ বেশি। গরিব চাষিদের জন্য এখন বোরো চাষ করা কষ্টসাধ্য। কিন্তু নিত্যনতুন প্রযুক্তি আর সরকারের পক্ষ থেকে সার, কীটনাশক, বিদ্যুতে ভর্তুকি কাজে লাগাতে সক্ষমতা অর্জনের আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। পাশাপাশি কৃষকরা সচেতনতা ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কিভাবে খরচ কমানো যায় সেদিকে বেশি নজর দিচ্ছে। তাই বোরো চাষ বাদ দিতে তারা খুব একটা আগ্রহী নয়। কারণ বোরো ধানের পর একই জমিতে অন্য ফসল ফলানো সহজ হয়, কিন্তু বোরো বাদ দিয়ে অন্য ফসল ফলালে ওই জমিতে আবার অন্য ধান চাষ করা কঠিন। তাই কৃষকরা ধান থেকে সরতে চাইছে না।

 

কৃষি বিভাগের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যুত্চালিত সেচের ওপর সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ কৃষকই ওই ভর্তুকি সম্পর্কে অবগত নয়। এই সুযোগে ভর্তুকির সুফল কৃষকের পরিবর্তে সেচযন্ত্রের মালিকরা ভোগ করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বরাবরই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ ব্যবসা নিজেদের দখলে রাখেন। সরকারের উচিত এদিকটায় নজর দেওয়া।

 

ফলন বেশি, খরচও বেশি : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক ২০১৫-১৬ সালের আউশ, আমন ও বোরো ধান উৎপাদনের খরচ ও লাভ-ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ওই সময়ে হেক্টরপ্রতি আউশের উৎপাদন হয়েছে চার হাজার ২৪৮ কেজি, আমনের উৎপাদন হয়েছে চার হাজার ৬০৪ কেজি আর বোরোর উৎপাদান হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৬২৭ কেজি করে। এ ছাড়া বরাবরই দেশে গড় হিসাবে অন্য ধানের চেয়ে বোরোর উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।

 

ড. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে থাকা বোরোতে সমস্যা তৈরি হয় আর্থিক লাভ-ক্ষতির হিসাব করতে গিয়ে। ওই সময়ে যেখানে বোরো চাষে হেক্টরপ্রতি ব্যয় হয়েছে সর্বোচ্চ এক লাখ ১২ হাজার ৯৬০ টাকা, সেখানে আমনে খরচ ৮২ হাজার ৮৯ টাকা এবং আউশের খরচ মাত্র ৭৮ হাজার ২৪ টাকা করে। আর লাভ-ক্ষতির হিসাবে আমন থেকে হেক্টরপ্রতি ছয় হাজার ৮১১ টাকা নিট আয় হলেও আউশে লোকসান হয় হেক্টরপ্রতি ১২ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বোরোতে লোকসান হয় সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ১১ টাকা।

 

ধান বিশেষজ্ঞরা জানান, কৃষকদের এখনো বোরো ধান চাষে আগ্রহ বেশি। অন্য ধানের চেয়ে এ ধানের ফলন তুলনামূলক ভালো হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে এর উৎপাদন খরচ নিয়ে। অন্য যেকোনো ধানের চেয়ে বোরো চাষাবাদে বেশি পানি ও সার-কীটনাশক দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেচের পেছনেই বেশি খরচ পড়ে। আবার কায়িক পরিশ্রমও বেশি লাগে। এর পরও বেশি ফলনের আশায় অনেক জায়গায় বোরো চাষ বাড়াচ্ছে কৃষকরা। তবে এখন সরকারের পক্ষ থেকে বোরো চাষ নিরুৎসাহ করে এর পরিবর্তে ভুট্টা বা গমজাতীয় ফসল চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বোরো চাষের উপযোগী অনেক এলাকায়ই ভুট্টার আবাদ ভালো না হওয়ায় কৃষকরা এতে আগ্রহী হচ্ছে না। এ ছাড়া বোরো উৎপাদন কমিয়ে ফেললে চালের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, বোরো চাষে নিরুৎসাহ না করে বরং দেশের যেসব অঞ্চলে এমনিতেই অনেক চাষযোগ্য জমি অনাবাদি থেকে যায় সেগুলোতে ভুট্টা বা গমজাতীয় ফসল চাষে মানুষকে উৎসাহিত করা ভালো হবে।

 

সেচের পানি সহজলভ্য করা, খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া যায় : বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের নদনদী, খালবিল নিয়মিত খনন করা হলে সেচকাজে ব্যবহারের জন্য ভূ-উপিভাগের পানি সহজলভ্য হবে। এ ছাড়া জমিতে পর্যায়ক্রমে পানি দেওয়া এবং শুকানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ৩০ শতাংশ পানি সাশ্রয় করা সম্ভব। বিশেষ করে যেসব এলাকায় চুক্তিভিত্তিক সেচ খরচ নির্ধারণ করে ধান চাষ করা হয় সেখানে চাষির কোনো লাভ হয় না। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারলে সেচের খরচ কমে যাবে এবং বোরো চাষের প্রতি নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসা সম্ভব হবে। কারণ এখনো বোরো মৌসুমের প্রায় ৬৫ শতাংশ জমিতে ব্রি ২৮ এবং ব্রি ২৯ ধান আবাদ হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় ১৩ শতাংশ জমিতে আবাদ হচ্ছে হাইব্রিড ধান। আর ব্রির জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান ২৯ সর্বোচ্চ হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন ফলন দিচ্ছে। এর পরই রয়েছে ব্রি ধান ৫৮, যার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন। অন্যদিকে আমন মৌসুমে সর্বোচ্চ ফলন দেয় (ব্রি ৪৯) হেক্টরপ্রতি ৪ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন। অবশ্য আউশ মৌসুমে আমনের চেয়ে বেশি সর্বোচ্চ ফলন দেয় হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ০২ মেট্রিক টন। আর কোনো কোনো হাইব্রিড ধানের গড় ফলনও হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন ধরা হয়।

 

বরিশালের হিজলায় সয়াবিনে ঝোঁক : বোরোর এলাকা হিসেবে পরিচিত বরিশালের হিজলা উপজেলার কৃষিজীবী গাফফার তালুকদার বলেন, বোরোতে ফলন ভালো হলেও লাভ কম। সরকারের পক্ষ থেকেও বোরোর পরিবর্তে সয়াবিন চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা এখন অনেকেই সয়াবিনের দিকে ঝুঁকছে।

 

গাফফার তালুকদার বলেন, ‘আমি নিজে গত বছর ৮০ একর জমিতে বোরোর পরিবর্তে সয়াবিন চাষ করেছি। এতে তুলনামূলক অনেক বেশি লাভ হয়েছে। কিন্তু অনেক চাষি সয়াবিন চাষে অভ্যস্ত হতে না পারায় তারা ঠিকই বোরো চাষ করছে। ’

 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নবজাগরণ : বোরো চাষে নিরুৎসাহকরণের মধ্যেই এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বোরো চাষের নতুন এক উদ্যোগে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধ ভবদহের অংশবিশেষ সেচ করে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বোরো চাষ করা হচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে বোরো চাষে আবার নতুন করে এক ধরনের জাগরণ দেখা দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ