বৈশাখী টিভির মালিকানা ডেসটিনির

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কাছেই থাকছে।বৃহস্পতিবার বৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা নিয়ে এর সাবেক পরিচালক এমএনএইচ বুলুর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

ফলে বৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কাছেই থাকছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন।

আদালতে বৈশাখী টিভির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম।

২০০৮ সালে বৈশাখী টিভির শেয়ার কেনে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড। এর পর টিভির সাবেক পরিচালক এমএনএইচ বুলু তার শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তর করেন ডেসটিনির কাছে।কিন্তু এর পর একপর্যায়ে তিনি হাইকোর্টে কোম্পানি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে তিনি দাবি করেন, আইনত তার শেয়ার হস্তান্তর হয়নি। তাই মালিকানায় তারও অধিকার রয়েছে। ওই দুটি মামলায় হাইকোর্ট এমএনএইচ বুলুর পক্ষে রায় দেন।

এর পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায় আসে ডেসটিনির পক্ষে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে বুলুর রিভিউ আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে আজ তা নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের আপিল মঞ্জুর করেছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালত বলেন, শেয়ার হস্তান্তর সঠিক হয়নি এ দাবি করে হাইকোর্টে এমএনএইচ বুলু যে আবেদন করেছিলেন তা আইনের দৃষ্টিতে অচল।

এ ধরনের আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ন্যূনতম এক-দশমাংশ শেয়ারের মালিক হতে হয়। অথচ বুলু যখন দরখাস্ত করেন তার কোনো শেয়ার ছিল না। ফলে তার আবেদনটি আইনত রক্ষণীয় নয়।

আজ রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর মালিকানা প্রশ্নের আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেই বলে মনে করেন ডেসটিনির আইনজীবীর ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম।