বৈদেশিক ঋণ বাতিলের দাবিতে পরিবর্তন’র র‌্যালি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জীবাশ্ম জ্বালানিতে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদি সংগঠন ‘পরিবর্তন’ ও ‘ক্লিন’। এশিয়ার জনগণের বিদ্যমান অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগত ও জলবায়ু সংকটের কথা বিবেচনায় জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে তারা এ দাবি জানান।

সোমবার (২৭ জুন) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই দাবিতে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র সভাপতি নুরুজ্জামান খান। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ ইবনে ওবায়েদ রিপন, পরিবর্তন’র উন্নয়ন কর্মী হাসিবুল হাসান প্রমুক। এসময় বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে পরিবর্তন’র উন্নয়ন কর্মী হাসিবুল হাসান বলেন, আমাদের সরকারের ইতোমধ্যে একটা বড় অংকের ঋণের বোঝা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ঋণ নিয়েই চলছে। এমনভাবে চলতে থাকলে এই ঋণ শোধ করতে গিয়ে আগামী ১২ বছর পর থেকে আমাদের দেশ একটা বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পরতে পারে। আমরা বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার মতো ঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত অবস্থায় দেখতে চাই না। তাই আমাদের উচিত শ্রীলঙ্কার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে জি-৭ ভুক্ত ধনী দেশগুলো আমাদের কাছে অনেক বড় অঙ্কের অর্থের সমপরিমাণ ঋণী জলবায়ু ঋণের দিক দিয়ে যা তারা পরিশোধ করেনি। এর পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। যদি তারা তাদের জলবায়ু ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে দক্ষিণের দেশগুলোর ২০৩০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ পর্যন্ত অর্থের ক্ষতি হতে পারে।

পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ ইবনে ওবায়েদ রিপন বলেন, জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং তারা তাদের এই নির্গমন চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই তারা জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। আমরা ২০২২ সালের মধ্যে তাদের জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের সর্বশেষ অঙ্গীকার শক্তভাবে পালন করার আহ্বান করছি। তিনি আরও বলেন, তাদেরকে সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে, কোন ধরনের ফাঁকফোকর বা ব্যতিক্রম থাকতে পারবে না এবং তাদের তাদের জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য বরাদ্ধ করতে হবে যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হয়। এছাড়াও তাদেরকে তাদের জলবায়ু ঋণ পূরণ করতে হবে এবং জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাচার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এস/আই