বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ নানা দাবিতে কর্মবিরতিতে রুয়েট শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ১০টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ২০মিনিট পর্যন্ত সকল ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন তারা। আগামীকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনেও তাদের কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।

শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলো হলো- তাদের উচ্চতর ডিগ্রির জন্য সিন্ডিকেট অনুমোদিত বেতন বৃদ্ধি বা বিশেষ বেতন প্রদান, প্রভাষকদের প্রারম্ভিক বেতন বৃদ্ধি করা এবং বকেয়া বেতন প্রদান করা।

জানা যায়, শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের প্রারম্ভিক ও বার্ষিক ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তা এখনো কার্যকর না হওয়ায় শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। কর্মবিরতি চলাকালে দুয়েকটি বিভাগ ছাড়া অধিকাংশ বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শামীমুর রহমান জানান, বুয়েট, কুয়েট, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে যোগদানের পর থেকেই তারা বেতনের সঙ্গে চারটি করে ইনক্রিমেন্ট পান। কিন্তু রুয়েটে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারির আগে, পরে এবং গত বছরের ডিসেম্বরে যারা শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তাদের বেতনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে বেতনের এই বৈষম্য তারা মানতে রাজি নন। তিনি জানান, বর্তমানে রুয়েটে দুইশোর কিছু বেশি শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০-৬০ জন এই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতনদের অবহিত করার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে শিক্ষকরা অর্ধদিবস (সকাল ৮টা-দুপুর ১টা ২০মিনিট) কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচিতে যাবেন বলেও জানান তিনি।

শামীমুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনকে বেশ কয়েকবার আমাদের দাবির ব্যাপারে জানিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি। আমরা কর্মসূচি পালন করছি, কিন্তু প্রশাসন এখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।’

তবে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ দাবি করে বলেন, ‘আমি শিক্ষকদের ডেকে তাদেরকে ক্লাসে ফিরতে বলেছি। প্রায় প্রতিটি বিভাগেই ওই সময়ে ক্লাস হয়েছে। হয়ত গুটি কয়েক বিভাগে হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে আমি আন্তরিক। তবে এই টাকাটা সরকারের কাছ থেকে আসতে হবে। সরকার টাকা দিলেই আমরা শিক্ষকদের দিতে পারবো।’

 

স/শা