বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বাজারে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। রসুন কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আদা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা, এলাচি, দারুচিনিসহ প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে বড় আলু কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সেমাইয়ের বাজারও চড়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন কেজি ১১০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে দেশি আদা কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। আগের দামেই কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ১০০ গ্রাম ওজনের মরিচ, হলুদ ও ধনিয়ার গুঁড়ার প্যাকেট ১০ টাকা করে বেড়েছে। ২০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটে ২০ টাকা এবং ৩০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে খোলা মরিচ গুঁড়া কেজি ৪৮০ টাকা, হলুদ গুঁড়া কেজি ২৫০ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরা খুচরায় কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে এলাচি মানভেদে কেজি এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারচিনি কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেমাই ২০০ গ্রাম প্যাকেট ৪৫ টাকা, বনফুল ২০০ গ্রাম প্যাকেট সেমাই ৫০ টাকা ও বনফুল ৮০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট সেমাই ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৬ এপ্রিল চিনির দাম কেজিতে তিন টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে খোলা চিনি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বাজারে এখনো খোলা চিনি কেজি ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এখনো স্বাভাবিক হয়নি প্যাকেট চিনির সরবরাহ।

কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের খুচরা মসলা ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খোলা বা প্যাকেট সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। প্রতিবছর ঈদের এক মাস আগে থেকে এসব পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। রোজা শুরুর আগে থেকেই দাম বাড়ছে।’

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ অন্য নিত্যপণ্যের দামে পরিবর্তন আসেনি। মসুর ডাল ছোট কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, বড় মসুর ডাল কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, পোলাওর চাল খোলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, এক কেজির প্যাকেট পোলাওর চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের ভ্যারাইটিজ স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পণ্যের দাম তো অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে। রোজার আগেই পোলাওর চালের এক কেজির প্যাকেটে ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ঈদের এক-দেড় মাস আগেই প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।’

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-রসুন-আদা ও আলুর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাজারে নতুন করে রসুন, আদা ও আলুর দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আদা ও রসুন কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আলু কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ