‘বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই’ চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন সুশান্ত

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে এবার নতুন তথ্য দিলেন চিকিৎসকরা। মুম্বাই পুলিশকে দেয়া সুশান্তের দুই চিকিৎসকের কথায় চাঞ্চল্য আরও বাড়ছে। সুশান্তের চিকিৎসা করতেন, এমন দুজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, সুশান্ত ‘বাইপোলার ডিজ-অর্ডারে’ ভুগছিলেন। সঙ্গে ছিল অসম্ভব দুশ্চিন্তা-অনিদ্রাসহ একগুচ্ছ মানসিক অসুখ।

এর আগে মুম্বাই পুলিশকে দেয়া ভাষ্যে সুশান্তের দুই চিকিৎসকই জানিয়েছিলেন, সুশান্ত নাকি ওষুধ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এক চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, সুশান্তের মনে হতো তার এই সমস্যার সমাধান কোনো দিনই হবে না। আর সে জন্য সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোয়াতে হবে তার পরিবারকে।

ওই চিকিৎসক জানান, গত বছর নভেম্বরে সুশান্ত তাকে বলেছিলেন, আর নাকি বেঁচে থাকার ইচ্ছাই নেই তার। যতবার সুশান্ত তার কাছে এসেছিলেন ততবারই নাকি সঙ্গে থাকতেন রিয়া।

অপর চিকিৎসকের ভাষ্য থেকে জানা যায়, ২০ বছর বয়স থেকে নানা মানসিক সমস্যার শিকার ছিলেন সুশান্ত। তার কথায়, সুশান্ত তার রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকলেও নিয়মিত ওষুধ নিচ্ছিলেন না। চার-পাঁচ দিন না ঘুমানো, অনেক পরিমাণ টাকা খরচ, তাড়াতাড়ি কথা বলার প্রবণতাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন সুশান্ত।

এদিকে বৃহস্পতিবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বাবাকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এদিন সুশান্তের দুই পরিচারক নীরজ এবং কেশবকে জেরার জন্য ডাকে সিবিআই। ডাক পড়েছিল সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিরও।

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রিয়ার বাবাকে মেয়ে এবং সুশান্তের সম্পর্কের ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এ দিন। কেন সুশান্তের নম্বর ব্লক করে দিয়েছিলেন রিয়া, তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল, এ বিষয়ে ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে বিস্তারিত জেরা করেছে সিবিআই।

সুশান্ত তদন্তে মাদকপাচার ও সরবরাহকাণ্ডে ভারতের ন্যারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) জালে ধরা পড়ল আরও এক মাদক পাচারকারী। এছাড়াও বেঙ্গালুরুর আরও এক ব্যক্তিকে মাদকপাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে ডেকে পাঠিয়েছে এনসিবি। শোনা যাচ্ছে, মাদককাণ্ডে শনিবার জিজ্ঞাসবাদের জন্য ডাক পড়তে পারে রিয়ার ভাই শৌভিকের।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থমকে আছে বলিউড। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। অনেকেই এটাকে খুন বলেও দাবি করছেন।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ