নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী। চাঁপাইনবাবগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বাংলার অমিততেজী সন্তান ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
দিবসটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৭১’ এর ডিসেম্বরে অন্যসব এলাকা শত্রুমুক্ত হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে যায় পাকিস্তানিদের দখলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরকে শত্রুমুক্ত করতে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মহানন্দা নদীর ওপারে বারোঘরিয়ায় অবস্থান নেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর তার বিশাল বাহিনীকে ৩ ভাগে ভাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য আক্রমণ শুরু করেন। তিনি একটি ছোট নৌকা নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে এসে রেহাইচরে অবস্থান গ্রহণ করে শত্রুদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
ভোরের দিকে একটি বাড়ির জানালা থেকে পাকবাহিনীর একটি বুলেট ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের কপালে লাগে। চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করেন।
তার অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর হাজারো মুক্তিযোদ্ধার অশ্রুশিক্ত ভালবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরকে সমাহিত করা হয় শিবগঞ্জের ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে। পরে তার বীরত্বগাঁথার জন্য রাষ্ট্র তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে সম্মানিত করে।
স/অ