বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ট্রেন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। বৃষ্টি হলেই মাটি নরম হয়ে দেবে যায় লাইন। এ ছাড়া এ রুটের সেতুগুলোর অবস্থাও ভালো না। পাহাড়ি ঢল নামলে মীরসরাই উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে রেললাইন ডুবে যায়।

গত ১৫ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত কয়েকদিন থেমে থেমে টানা বর্ষণে উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়িয়ার একাংশ ও তালবাড়িয়া এলাকায় রেল লাইনের ওপর পানি উঠে যায়।

গত বছর এ সময় অনেক এলাকায় রেললাইন পানিতে ডুবে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই যথাযথ উদ্যোগ না নিলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

অভিযোগ রয়েছে, যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে জোড়াতালি দিয়ে নামমাত্র সংস্কার কাজ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়।

কোথাও কোথাও কয়েকটি স্লিপারের পর দু-একটি ক্লিপ লাগানো আছে। কিন্তু সেতুগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল হক বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হলে আমাদের আতঙ্কের পাশাপাশি উদ্বেগ বেড়ে যায়।

এবার বর্ষা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম-ফেনী, চট্টগ্রাম-ষোলশহর-দোহাজারী, ষোলশহর-মাঝিরহাট, আখাউড়া-সিলেট, আখাউড়া-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন রুটের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার রেলপথ বিশেষ নজরে রেখেছি। শুধু বন্যা নয়, টানা বৃষ্টিতে রেললাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

মাটি নরম হয়ে যায়, ফলে ব্রিজের দু’পাশ এবং লাইনের বিভিন্ন স্থান দেবে যায়। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ সালে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় রেলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পানির তোড়ে মাইলের পর মাইল রেললাইন নষ্ট হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্ধশত ব্রিজ। ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে চার মাসব্যাপী চেষ্টা করে এসব লাইন মেরামত করা হয়। ভারি বৃষ্টি এবং বন্যা স্থায়ী হলে এবারও এমনটা হতে পারে। তবে এবার যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছি।

ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও সেতু এলাকায় পর্যাপ্ত পাথর, লাইন এবং ব্রিজের জন্য রোন্ড স্টিল জয়েন্ট (আরএসজে) রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত মেরামত করা যায়।