মঙ্গলবার , ২৫ জুন ২০২৪ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়

Paris
জুন ২৫, ২০২৪ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

ইসলাম ডেস্ক:
বৃষ্টি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীবাসীর জন্য নিয়ামত। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মাটিকে সতেজ করেন, তা থেকে ফল-ফলাদি, শস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন।

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎসও হলো বৃষ্টি। এ ছাড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সচল রাখতে এবং কৃষ্টি সেচব্যবস্থা সচল রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরীসীম।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর এই মহা নিয়ামতের ব্যাপারে বলেন, ‘আর তিনিই সে সত্তা, যিনি তাঁর (রহমত) বৃষ্টির আগে বায়ু প্রবাহিত করেন সুসংবাদ হিসেবে, অবশেষে যখন সেটা ভারী মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি সেটাকে মৃত জনপদের দিকে চালিয়ে দিই, অতঃপর আমি তা দ্বারা বৃষ্টি বর্ষণ করি, তারপর তা দিয়ে সব রকমের ফল উৎপাদন করি। এভাবেই আমরা মৃতদের বের করব, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫৭)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আপনি কি দেখেন না, আল্লাহ আকাশ থেকে ভারি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূমিতে নির্ঝররূপে প্রবাহিত করেন। তারপর তা দ্বারা বিভিন্ন বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়।

ফলে আপনি তা হলুদ বর্ণ দেখতে পান, অবশেষে তিনি সেটাকে খড়-কুটায় পরিণত করেন? এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য। ’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২১)

এজন্য নবীজি (সা.) উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। এবং বৃষ্টি এলে খুশি হতেন। বৃষ্টির পানি স্পর্শ করতেন।

আনাস (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন রাসুল (সা.) তাঁর কাপড় খুলে দিলেন। ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা মহান আল্লাহর কাছ থেকে আসার সময় খুবই অল্প। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮)

বৃষ্টির অন্যতম ফজিলত হলো, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।

রাসুল (সা.) বলেছেন, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০)। তাই মুমিনের কর্তব্য বৃষ্টির সময় মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। যদি অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়, যা ফসল ইত্যাদি নষ্ট করতে পারে, জনজীবনে দুর্ভোগ নামাতে পারে, তাহলে আল্লাহর কাছে সেই বৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাওয়া।

রাসুল (সা.) অতিবৃষ্টি দেখলে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা’ অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ করো, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৭)

সর্বশেষ - ধর্ম