বিয়ের তথ্য গোপন রেখে বিজিবিতে চাকুরী নেয়ার অভিযোগ : আদালতে মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দায় এক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের তথ্য গোপন রেখে বিজিবিতে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাকরি পাওয়ার পর দেলোয়ার হোসেন (২৩) নামে ওই বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী তাসনিয়া আক্তার লিপি।

 
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জেলার মান্দা উপজেলার সুতিহাট গ্রামের জলিল মন্ডলের ছেলে দেলোয়ার হোসেন একই উপজেলার খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে তাসনিয়া আক্তার লিপিকে (২০) বিয়ে করেন। বিয়ের তথ্য গোপন রেখে ওই বছরই দেলোয়ার হোসেন বিজিবিতে চাকুরী নেন। ৮৬তম ব্যাচে প্রশিক্ষণ শেষে সাতক্ষিরার নিলডমরে সদরে ৩৪ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানে যোগ দেন। তার সিফাহি নং ৯৯৩৯১।

 
প্রশিক্ষনে যাবার পর তাসনিয়া শশুড় বাড়িতেই থাকতেন। এ সময় দেলোয়ারের বাবা-মা লিপিকে যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা বাবার বাড়িতে নিয়ে আসার দাবি জানান। দেলোয়ারও ছুটি থেকে আসার পর যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। দেলোয়ার কর্মস্থলে যাওয়ার পর যৌতুকের তাসনিয়ার শশুর-শাশুড়ী তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।

 
তাসনিয়ার পরিবার যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে দেলোয়ার ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে শশুড় বাড়িতে গিয়েও যৌতুকের দাবিতে তাসনিয়ার ওপর একাধিকবার শারিরীক নির্যাতন করে দেলোয়ার। টাকা দিতে না পারলে স্বামী তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেন তিনি। এ বিষয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তাসনিয়া। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 
তাসনিয়া আক্তার জানান, মামলা করায় দেলোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারপিট করে এবং মামলা তুলে না নিলে প্রানে মারার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ১৩ মার্চ মান্দা থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেন তিনি।

 

‘আমাকে বিয়ে করার দুই-তিন মাস পর দেলোয়ার বিয়ের তথ্য গোপন রেখে বিজিবিতে নিয়োগ নিয়ে প্রশিক্ষনে যান। চাকরি পাওয়ার পর যৌতুকের দাবিতে আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে।’

 

অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি (০১৭৪৬-৯০১৮৫৭) বলেন, আমি কোনো চাকুরি করি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। সাতক্ষিরার নিলডমরে৬ সদরে ৩৪ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের (সিও’র) বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

স/শ