বিসিসি নির্বাচনে বিএনপির ২১ প্রার্থী, অস্বস্তিতে দল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখা বিএনপির নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত আটকাতে পারেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে। মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমনকি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

এই সিটি নির্বাচনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মোট ২১ নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। যদিও বিএনপি থেকে আসা প্রার্থীরা অজুহাত দিচ্ছেন তাদের পদহীনতাকে। তবে নেতাকর্মীদের নির্বাচনবিমুখ করতে না পেরে অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় বিএনপি।

মেয়র পদে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা সাত প্রার্থীর মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। তিনি সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামালের ছেলে। রুপন নিজেও ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এছাড়া আরও ২০ জন নেতাকর্মী কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।

এরমধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুন অর রশিদ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ মো. আমিনুল ইসলাম। যারা সকলেই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।

এছাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানারা বেগম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নগর বিএনপির সাবেক সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিনা বেগম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে রাশিদা পারভীন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক, মনিরুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ শাহীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আবদুল্লাহ সাদি।

২২ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন সামাদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ন কবির ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল মামুন। সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নগর বিএনপির সাবেক সদস্য মজিদা বোরহান।

মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তাকে যারা ভালোবাসতেন তাদের মতামতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর বিএনপি থেকে আমাকে কোনো নির্দেশনা বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হয়নি। তাছাড়া দলে আমার কোনো পদ-পদবি নেই। এজন্যই আমি মনে করি নির্বাচনে অংশ নিতে আমার কোনো বাধা নেই।

তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মনে খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি দল নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে সক্রিয় অথচ সিটি নির্বাচনে কিছু নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেন সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করে এসেছি। তারপরও যারা অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্র তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বরিশালের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্র অবহিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ১৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ২১ জন প্রার্থী বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।