বিসিএসের প্রশ্নের সেট নির্ধারণ হলো ভিডিও সম্মেলন করে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিসিএস পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ প্রক্রিয়া ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে ছয় জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। পিএসসির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এভাবে প্রশ্নপত্র নির্ধারণ করা হলো।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন আজ আবশ্যিক ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনের পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৯৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪৬৯ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে হাজির হওয়ায় তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঢাকার ১০টি কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল কেন্দ্রে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে পিএসসি কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশালের জেলা প্রশাসকেরা পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলনে যুক্ত হন। এরপর পিএসসির সদস্যের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে একাধিক প্রশ্নপত্র থেকে পরীক্ষার সেট নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক জেলা প্রশাসকই ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে পুরো কার্যক্রম দেখেন এবং প্রশ্নপত্রের সেট জানতে পারেন।

হঠাৎ করে কেন এই উদ্যোগ জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতেই বিসিএসে একাধিক সেট প্রশ্নপত্র করা হয়। আর প্রথমবারের মতো ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে এটি করে আরও স্বচ্ছতা তৈরি করা হলো। ফলে জেলা প্রশাসকেরা দেখলেন তাঁদের সামনেই পরীক্ষার সেট নির্ধারিত হলো। সবার সামনেই তাঁরা বিষয়টি জানতে পারলেন। পিএসসিকে ডিজিটাইলজড করার এটি একটি উদ্যোগ।’

৩৬তম বিসিএসের পরবর্তী পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবশ্যিক পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র, বই ও ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। তবে পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্যালকুলেটর ব্যবহরা করা যাবে।

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০ জানিয়ে পিএসসি বলছে, কোনো বিষয়ে কেউ ৩০ শতাংশের কম পেলে তিনি ওই বিষয়ে কোনো নম্বর পাননি বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

প্রথম শ্রেণির ২ হাজার ১৮০ জন গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। ১০ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩০ জন।

সূত্র: প্রথম আলো