বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যালী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
“বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ ২০১৭” উপলক্ষে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের উদ্যোগে তালাইমারি ক্যাম্পাস থেকে একটি র‌্যালী শুরু হয়। র‌্যালীটি তালাইমারি মোড় ঘুরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীটির মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল এ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তোলা।

এই র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নূরুল হোসেন চৌধুরী এবং ফার্মেসী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এ সময় বক্তব্য দেন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ।

এ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক সমস্যা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ এ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, প্রতিবছর প্রায় ৭ লক্ষ লোক অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্সের জন্য মারা যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এর প্রভাব আরও প্রকট। কারণ এ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ও যথেচ্ছ ব্যবহার যেমন: প্রেসক্রিপশন ব্যতীত এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, সঠিকভাবে রোগ নির্নয় না করা, এ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পন্ন না করা, একাধিক এ্যান্টিবায়োটিক একত্রে প্রয়োগ করা, এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশিতেও ডাক্তারদের দ্বিধাহীনভাবে এ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার প্রবনতা। এছাড়াও বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানীগুলোর অতিবানিজ্যিক মনোভাব ডাক্তারদের অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে বাধ্য করছে। এমতাবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের লাগাম টেনে না ধরলে অতীতের মতো ছোটখাটো রোগ যেমন: কলেরা, ডায়রিয়া বা টাইফয়েড মহামারীর আকার ধারণ করবে। একারণে ডঐঙ WHO (World Health Organization) কর্তৃক বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ এই সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।

শুধুমাত্র নিবন্ধনকৃত ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ও ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা ।
স/শ