বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির টেস্ট

চার ম্যাচ সিরিজে আগামীকাল তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও ইংল্যান্ড। ম্যাচটি দিবা-রাত্রির। আহমেদাবাদের মোতেরায় সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টেস্টটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি নিযে উচ্ছ্বসিত দুই দল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সম্প্রতি স্টেডিয়ামটির একটি ভিডিও নিজেদের টুইটারে আপলোড করেছে। এই স্টেডিয়ামের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একাধিক অনুশীলনের পিচ তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালে মোতেরা স্টেডিয়ামের নিমার্নে কাজ শুরু হয়। ৬৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি রুপির বেশি। এই মাঠের আসন সংখ্যা সর্বাধিক ১ লাখ ১০ হাজার হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য মাত্র ৫৫ হাজার টিকিট বাজারে ছেড়েছিল বিসিসিআই। অনলাইনে টিকিট ছাড়ার একদিনের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সিরিজের তৃতীয় টেস্টকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনা আকাশ ছোঁয়া।

এত বড় স্টেডিয়ামের অভিষেকে দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে অনেক বেশি উত্তেজিত ভারত ও ইংল্যান্ড। গেল শনিবার প্রথমবার এই স্টেডিয়ামে অনুশীলনে আসার পর অবাক হয়েছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। অনুশীলন শুরুর আগে ঘুরে ঘুরে স্টেডিয়ামটি পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। ভারতের ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারার মন্তব্য, ‘বিরাট এক স্টেডিয়াম। মোতেরায় প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে মুখিয়ে আছি আমরা। অসাধারণ মাঠ। আমরা প্রত্যেকটি সুবিধা উপভোগ করছি। ড্রেসিংরুমের পাশেই জিম রয়েছে। ফলে ম্যাচ চলাকালীনও কেউ ইচ্ছে করলে গা ঘামিয়ে নিতে পারে। এখানে এখন পর্যন্ত দারুন সময় কাটছে।’

নতুন স্টেডিয়ামে জয়ের গুরুত্ব জানেন ভারতের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘নতুন স্টেডিয়ামে নামার জন্য মুখিয়ে আছে সকলে। এত বড় স্টেডিয়ামে খেলতে নামবো ভাবতেই শিহরিত আমরা। তবে এই ম্যাচটি গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্য এক পা দিয়ে রাখতে আমরা জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। দিবা-রাত্রির ম্যাচ তাই আমরা বেশ সতর্ক। প্রতিপক্ষও শক্তিশালী দল। প্রথম টেস্ট হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোটা আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’

মোতেরার পিচে ঘাস থাকার সম্ভবনাই রয়েছে। পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাবে। এই টেস্টে স্পট লাইটে থাকবে দুই দলের পেসাররা। তাই মোতেরার পিচ নিয়ে হুংকার দিয়ে রাখলেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চার। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় টেস্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টটা জিততে পারলে আামরা সিরিজটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। অবশ্যই জেতা সম্ভব। আমরা সব সময় জেতার জন্যই খেলি। নতুন স্টেডিয়াম তাই সবকিছুই নতুনভাবে শুরু করতে হবে। এখন আমি খুব ভাল অবস্থায় আছি। কোনও সমস্যা নেই।’

গোলাপি বলের টেস্টের উত্তেজনা স্পর্শ ইংল্যান্ডের আরেক পেসার বেন স্টোকসকেও। মোতেরায় নবনির্মিত সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির ম্যাচ খেলতে ইংলিশ অল-রাউন্ডারের জিভে জল আসছে বলে জানিয়েছেন স্টোকস, ‘আমি বলে দিতে পারি স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস এন্ডারসন এবং জোফরা আর্চারদের জিভে জল আসছে। এটা পুরোপুরি ভিন্ন রকমের খেলা। এখানে অনুশীলন পর্বটা মজার ছিল। আমরা এখানে অনুশীলন উপভোগ করেছি। তাই এখনই কল্পনা করছি, ম্যাচ চলাকালীন কী হতে পারে। সে কারণেই দিবা-রাত্রির টেস্টের উত্তেজনা আমাদের স্পর্শ করছে।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ