বিশ্বকে কোন পথে ঠেলে দিচ্ছেন বাইডেন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

শুধু ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক বোমা তৈরি ঠেকাতেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার উত্তরোত্তর প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির রাশ টেনে ধরার বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল আবিব ও বিশেষ করে জেদ্দায় ছুটে গিয়েছিলেন। তবে এর পেছনে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের যথেষ্ট কূটনৈতিক তদবির পরিলক্ষিত হয়েছে তার বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট দিক থেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামল থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া থেকে তার সাম্রাজ্যবাদী থাবা গুটিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সেই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়ে ইরান, রাশিয়া, তুরস্কসহ এক বৃহত্তর পরিকল্পনা নিয়ে চীন।

সিরিয়ায় ইরান ও তুরস্কের নিজস্ব আঞ্চলিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত সংকট তীব্র হয়ে উঠলেও রাশিয়া ও চীনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা। এতে তুরস্ক ছাড়া ইরানের নীরব সম্মতি ক্রমে ক্রমে অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ইরানের মূল লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ ও ভূ-রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আজ্ঞাবহ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক প্রভাব রোধ এবং ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন আরব ভূখণ্ড মুক্ত করা।

ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্তের ক্ষেত্রে চরম কৌশলী ইসরায়েলের দীর্ঘ কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষ পর্যন্ত অনুধাবন করতে সক্ষম হন যে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না। সেই অবস্থায় প্রথমেই চরম সংকটের মুখে পড়বে আরব রাষ্ট্রবেষ্টিত ইসরায়েলের অস্তিত্ব। ইউক্রেনে ক্রমে ক্রমে সংঘাত বিস্তৃত হলে সিরিয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি থেকে রাশিয়া তার সৈন্যবাহিনী ও সমরাস্ত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং সেই অবস্থায় ইরানের ওপর সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব অর্পিত হয়। এতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সহজ টার্গেটে পরিণত হয় ইসরায়েল। তা ছাড়া ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের দোদুল্যমানতার কারণে পশ্চিমাজগতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ইসরায়েল সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ইরানের সম্ভাব্য বোমা তৈরির বিরুদ্ধে প্রায় সমগ্র আরববিশ্বকেই ঐক্যবদ্ধ করতে থাকে। সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেনি সৌদি আরব, আমিরাতসহ অন্যরা।

উপরোক্ত মোক্ষম পরিস্থিতিতে কৌশলী ইসরায়েলি নেতারা পড়ন্ত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ‘প্যাকেজ ডিল’ উপস্থাপন করেন। আর তা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক, অর্থনৈতিক ও ক্ষমতার প্রভাববলয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ শক্তি নিয়ে আবার ফিরে আসা, ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক বোমা তৈরি বন্ধ করা, আরব রাজতন্ত্রের নিরাপত্তা বিধান করা এবং শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন করা। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা এবং এ অঞ্চল থেকে পশ্চিমাজগতে সত্বর জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) ছয়টি আরব রাষ্ট্র এবং মিসর, জর্দান ও ইরাককে নিয়ে বিশেষত ইরানবিরোধী একটি সামরিক জোট গঠন করার তাগিদ ছিল জো বাইডেনের সফরের পেছনে। শুধু তা-ই নয়, এই জোটে অত্যন্ত কৌশলে অনারব ও অমুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস রয়েছে সর্বাঙ্গীণভাবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলই একমাত্র রাষ্ট্র, যাদের কাছে রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন সমরাস্ত্র এবং সামরিক শক্তিতে যারা এ অঞ্চলে অদ্বিতীয়। আরব রাষ্ট্রগুলোর সেই ক্ষমতা নেই। তাদের নিরাপত্তা বিধান করবে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আরবদের ইরানের বোমার বিরুদ্ধে সে ধরনেরই একটি ‘ট্যাবলেট’ গিলিয়েছে ইসরায়েল। বিশেষভাবে ইরান এবং পক্ষান্তরে রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ন্যাটোর’ সমতুল্য একটি সামরিক জোট গঠনের চিন্তা-ভাবনা চলছে, যার পৃষ্ঠপোষকতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই জোটে সামগ্রিকভাবে সামরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল। তারাই অন্যদের নিয়ে সেই প্রস্তাবিত সামরিক জোটের রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রায় দুই বছর পর জো বাইডেন এবারই প্রথম ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফরে গেলেন। তেল আবিবে পৌঁছে গত ১৪ জুলাই তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে এক দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য বাইডেন অর্থ সাহায্য ছাড়াও উন্নত প্রযুক্তির সমরাস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। তা ছাড়া সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান ও বাহরাইন এবং মিসর, জর্দান ও ইরাকের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ১৬ জুলাই জেদ্দায় অনুষ্ঠিত এক আরব শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এতে বাইডেন প্রথমেই উল্লেখ করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে (আরববিশ্ব) যুক্তরাষ্ট্র আবার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আর মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাইডেন প্রায় সব নিশ্চয়তাই প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল, ইরানকে কোনোমতেই পারমাণবিক বোমা বানাতে দেওয়া হবে না। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান কিংবা চীন ও রাশিয়ার জন্য প্রভাববলয় সৃষ্টির অবকাশ রাখা হবে না। তা ছাড়া এই অঞ্চলের জন্য বাইডেন এক বিলিয়ন ডলারের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন, যা আপাতত খাদ্যের কোনো সংকট সৃষ্টি করবে না। তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট জ্বালানিসংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জ্বালানিসম্পদ সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এখানে মূলকথা হচ্ছে, বর্তমান সংকট নিরসনে আরববিশ্বকে জ্বালানি উৎপাদন ও সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। এখানে সমস্যা হচ্ছে, আগামী আগস্টে তেল উৎপাদনকারী সংস্থা ওপেকের বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে সৌদি আরবসহ অন্য সদস্যরা তেল-গ্যাসের উৎপাদন কতটা বাড়াতে পারবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এখানে উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যাপারে বাইডেন বিশেষ কিছুই বলেননি। সব পর্যায়ে চীন ও রাশিয়া এবং এমনকি ইরানের যেকোনো অগ্রগতি ঠেকানো এবং তাদের বিরুদ্ধে সব পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই যেন ছিল তাঁর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

জেদ্দায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্র ও জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তেল আবিব থেকে এক সংক্ষিপ্ত সফরে গত ১৫ জুলাই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে গমন করেন। সেখানে তিনি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কিছু আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করলেও ইসরায়েলি দখলদারি থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার ব্যাপারে তেমন কিছুই বলেননি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেই ভূখণ্ডে দুটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করলেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের ক্রমাগত বসতি নির্মাণ বন্ধ করার ব্যাপারে কিছুই উল্লেখ করেননি। ফিলিস্তিনের মুক্তির ব্যাপারে মাহমুদ আব্বাসের এক প্রশ্নের জবাবে শুধু এতটুকুই বলেছেন যে এ মুহূর্তে ফিলিস্তিন নিয়ে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। কবে নাগাদ এর একটি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, তা নিয়েও কোনো আভাস দেননি। ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও সাংবাদিক শিরিন আবু আখলেহের চলমান তদন্ত যাতে সঠিক ধারায় অগ্রসর হয়, তা তিনি নিশ্চিত করবেন বলে জানিয়েছেন। এর বাইরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর ও তার গুরুত্ব নিয়ে গণমাধ্যম বিশেষ কোনো তৎপরতা দেখায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমও বাইডেনের সদ্যঃসমাপ্ত চার দিনের সফরে তেমন বিশেষ কিছু অর্জিত হয়েছে বলে মনে করে না।

পক্ষান্তরে তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের খাশোগি হত্যার দায়দায়িত্ব নিয়ে কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান দল মনে করে, বাইডেন সৌদি শাসক ও নেতা হিসেবে এই তরুণ যুবরাজকে মেনে নিয়েছেন। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে এই ব্যক্তিটিকে তাঁর অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন মুক্ত গণমাধ্যমের অভিমত হচ্ছে, বাইডেনের এই মধ্যপ্রাচ্য সফরে একমাত্র লাভবান হয়েছে ইসরায়েল। কারণ তারা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রস্তাবিত সামরিক জোটে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হিসেবে আরো অপকর্ম করার সুযোগ পেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে কতটুকু সম্ভব হবে, এ নিয়ে এর মধ্যেই যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সদ্যঃসমাপ্ত মধ্যপ্রাচ্য সফর নিয়ে যথেষ্ট তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন মহল থেকে এমন প্রশ্নও উঠছে যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণে বিশ্বব্যাপী যেখানে দিনে দিনে জ্বালানি ও খাদ্যসংকট তীব্রতর হচ্ছে, সেখানে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতো একজন প্রবীণ নেতা চলমান সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করার চেষ্টা না করে বর্তমান সমস্যাসংকুল বিশ্বকে আরো বহুধাবিভক্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন। ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আগের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে না এসে বরং ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনে ব্রতী হয়েছেন। চীনের অগ্রগতি রোধ ও রাশিয়াকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সারা এশিয়া ও ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে তুলছেন। কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তিগত আধিপত্য কিংবা শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য বাইডেনও ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করছেন।

ইরানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের প্ররোচনায় বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক জোট গঠনের নামে আরেক দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টির নীলনকশা হাতে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপরিণামদর্শী কাজে মেতে উঠেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে খবর এলো যে তেহরানে প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। তবে তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁরা বিশ্বের খাদ্যসংকট মোকাবেলা, জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার হাত থেকে রক্ষা এবং মূল্যস্ফীতি রোধ করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামানো নিয়েও হয়তো আলোচনা হতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁদের কোন পথে ঠেলে দিচ্ছেন? বাইডেনের বিভিন্ন অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক কিংবা ইরান যে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নেবে না—এমন তো নয়!

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
gaziulhkhan@gmail.com

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ