বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি, ১০০ টাকা পেলেন জয়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সেঞ্চুরি কিংবা পাঁচ উইকেট পেলেই শিষ্যদের ১০০ টাকা দেন বিকেএসপির কোচ মন্টু দত্ত। ২০০০ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছেন তিনি। এ বাবদ প্রতি মাসেই তার পকেট থেকে যায় হাজার দুয়েক টাকা। মঙ্গলবারও ব্যত্যয় ঘটল না। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ছাত্র মাহমুদুল হাসান জয়কে ১০০ টাকা দিলেন এ কোচ।

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পচেফস্ট্রমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি করেন জয়। সেই ঐতিহাসিক ইনিংসের পুরস্কার এদিন হাতে পেলেন তিনি। তার হাঁকানো অনবদ্য তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংসেই ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। যেখানে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা মুকুট জেতেন টাইগার যুবারা।

বিসিবি একাদশের হয়ে বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে এসেছেন জয়। তিন নম্বর মাঠে গতকাল প্রথম দিনের খেলা শেষে কোচের কাছ থেকে ১০০ টাকা পান তিনি। বেশ ঘটা করে তাকে নিজের স্বাক্ষর করা ১০০ টাকার নোট তুলে দেন মন্টু দত্ত।

গুরুর কাছ থেকে এ পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিষ্য। জয় বলেন, খুব ভালো লাগছে। আমি সবসময় স্যারের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেয়ার চেষ্টা করি। সামনে আরও নেব ইনশাআল্লাহ।

দারুণ খুশি কোচও। মন্টু দত্ত বলেন, খুব ভালো লাগছে। আমি চাই সবসময় আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিক সে। একবার ৯৯ রানে (নিউজিল্যান্ড সফরে) আউট হওয়ায় মিস করেছে। যুব ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ছয়বার নিয়েছে ও। সব মিলিয়ে নিয়েছে নয়বার।

মন্টু দত্তের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি এ টাকা নিয়েছেন বিকেএসপির আরেক ছাত্র লিটন দাস। এখনও সেঞ্চুরি করলে তার কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করে নেন তিনি।

বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক বলেন, লিটন আমার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৪ দল থেকেই সে সেঞ্চুরি করত আর আমার কাছ থেকে টাকা নিত।

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের হয়ে খেলা সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকারও মন্টু দত্তের ছাত্র। ভালো পারফরম্যান্স করলে তার কাছ থেকে টাকা বুঝে নেন তারাও। এতে জোরাজুরি করতেও ছাড়েন না শিষ্যরা।