বিরাট নন, পাক উঠতি তারকার আইডল ‘হিটম্যান’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তান সুপার লিগে ৯ ম্যাচে ২৩৯ রান। তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। পাক দলের আগামিদিনের তারকা মনে করে তাঁর তুলনা টানা হচ্ছে বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমের সাথে। কিন্তু ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি কিংবা বাবর আজম নন। রোহিত শর্মাই তাঁর আইডল। সাফ জানালেন বছর ঊনিশের পাক তারকা হায়দার আলি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হায়দার জানিয়েছেন, আমি রোহিত শর্মাকেই আইডল মনে করি। ও যে স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে সেটা আমার ভীষণ পছন্দের। আমিও রোহিতের মতো একইভাবে ব্যাটিং করতে চাই।’ পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির হয়ে হায়দারের ব্যাটিং অনুরাগীদের নজর তো কেড়েইছে, পাশাপাশি হায়দারের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার রামিজ রাজা।

পিএসএলে হায়দারের ব্যাটিং দেখে রামিজই প্রথম তাঁকে বাবর আজম ও বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করেন। রামিজ এক ইউ টিউব ভিডিওতে বলেন, ‘হায়দার খুব প্রতিভাসম্পন্ন। পিএসএলে প্রথম মরশুমেই ও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছে।’ একইসঙ্গে হায়দারকে উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন হায়দারকে লম্বা ইনিংস খেলার দিকে নজর দিতে হবে ও আরও ধারাবাহিক হতে হবে। বিরাট এবং বাবরের সঙ্গে তাঁর তুলনা শুনেই হায়দার সম্প্রতি জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রিয় ব্যাটসম্যানের কথা।

৪৯.৬১ ব্যাটিং গড়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৭ ম্যাচে ৬৪৫ রান করা হায়দার জানিয়ে দিলেন ভবিষ্যতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে ভারতের ডেপুটি অধিনায়কের মতোই ব্যাটিং করতে চান। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নিজের টুইটারে করোনা মোকাবিলায় অর্থ সাহায্যের কথা নিজেই জানান বিরাট কোহলির ডেপুটি। ৮০ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে ৪৫ লক্ষ টাকা, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রোহিত। এছাড়াও দেশের ক্ষুধার্তদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং ওয়েলফেয়ার স্ট্রিট ডগসদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানান ‘হিটম্যান’৷

সোমবারই করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে অর্থ সাহায্য করেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি৷ তবে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ফার্স্ট ম্যান’ ও ‘ফার্স্ট লেডি’ করোনা মোকাবিলায় ঠিক কত টাকা দান করেছেন তা বলেননি৷ সুতরাং এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে রোহিতের অবদানই সর্বোচ্চ। করোনা মোকাবিলায় ৫০ লক্ষ টাকা করে দান করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও গৌতম গম্ভীররা। ৫২ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন সুরেশ রায়না।