বিমানের ফ্লাইটে যাত্রী শুধু টাঙ্গাইলের সোনা মিয়া

ঢাকা থেকে মাত্র একজন যাত্রী নিয়েই মালয়েশিয়ায় গেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এতে রয়েছে ১৬২টি আসন। এর মধ্যে ১২টি বিজনেস ক্লাস ও ১৫০টি ইকোনমিক ক্লাস। তবে ফিরতি ফ্লাইটে ১১২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে উড়োজাহাজটি।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বিজি ০৮৬ ফ্লাইটে একমাত্র যাত্রী ছিলেন সোনা মিয়া। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে। মালয়েশিয়ায় ট্রানজিট নিয়ে ব্রুনাই যান তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বেবিচকের বিধিনিষেধ ওঠার পর গত ১৮ আগস্ট ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে আবারও বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস গত ৭ সেপ্টেম্বর লেবাননে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার জন্য ঢাকা দোহা বৈরুত ঢাকা রুটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা দোহা ফ্লাইটে মূলত কার্গো এবং বৈরুত ঢাকা যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। বিশেষ অনুমতিতে দুজন যাত্রী ও ৩১, ১৩৬ কেজি কার্গোসহ ঢাকা থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা করে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বিজি ৪০২৫। ফেরার পথে বৈরুত হতে ৪০৮ জন যাত্রীসহ বিজি ৪০২৬ ঢাকায় পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, বিমান বোয়িং ৭৭৭ এর মাধ্যমে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের বৈরুত থেকে ঢাকায় আনয়নের জন্য এটি ছিল ৬ষ্ঠ ফ্লাইট।

বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের এয়ারলাইনস ঘটনাক্রমে পুরো উড়োজাহাজে মাত্র একজন যাত্রী নিয়েই কয়েকটি ফ্লাইট চালিয়েছে। সেগুলো ভ্রমণ বিষয়ক গণমাধ্যমের খবরে উঠেও এসেছে। এবার এই তালিকায় নাম লেখাল বিমান।

এর আগেও ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর গন্তব্যে একজন যাত্রী নিয়ে উড়াল দিয়েছিল ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট। কাকতালীয়ভাবে বাণিজ্যিক সে ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন মাত্র একজন। ১ সেপ্টেম্বর বিরল সেই ভ্রমণের যাত্রী বাংলাদেশি তরুণ রাফসান মাহমুদ।

সূত্র: কালের কণ্ঠ