বৃহস্পতিবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন’

Paris
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪ ৮:৫২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

দেশের বিভিন্ন বিষয়ে সব সময় সরব গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে পিছপা হন না এই নির্মাতা।

দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি দেশ স্বাধীন ও বিগত সরকার পতনের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশ সংস্কারের কথাও বলেছেন তিনি।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইইউনূস। সেই ভাষণের পর এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের একটি পোস্টে মতামত শেয়ার করেছেন ফারুকী।

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইনক্লুসিভনেসের।

আজকে তাকে মনে হয় নাই উনি কেবল একটা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা এই মুহূর্তে আমার বিবেচনায় সিগনিফিক্যান্ট কারণ আমি গত কিছুদিন অনুভব করছিলাম মানুষের একতার স্পিরিটটা একটু আলগা হয়ে আসছে।’

‘যেদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের বের করে দিয়েছিল হাসিনা, সেদিন থেকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, বিএনপি, বাম দল, জামাতসহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিণী, অভিভাবকসহ সবাই যে স্পিরিট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই স্পিরিটই ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটায়। এই স্পিরিটটা আমি বন্যা পর্যন্ত দেখেছি।

সবাই তখন দেশটা ওউন করছিল। কিন্তু এর পরেই ঘটে সাময়িক ছন্দঃপতন। কেমন সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ হতে শুরু করল।’

তিনি লেখেন, ‘আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই। ফলে আমাদের খোলাখুলি বলা উচিত এই ছন্দঃপতন শুরু হয় আন্দোলনের কৃতিত্ব এবং মাস্টারমাইন্ড বিষয়ক বিতর্কে।

সময় এসেছে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকা। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ বাদে সবাই। বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন। মনে রাখবেন, বিপ্লব সফল হয় অন্তর্ভুক্তিতে। বিপ্লব ঝুঁকিতে পড়ে বিভক্তিতে।’

আওয়ামী লীগ বাদে যারা আছেন তারা একে অন্যকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচিনিয়ে জনতার কাছে যান। জনতা যাদের ভোট দেবে তারা সরকার গঠন করবেন। যারা ভোট কম পাবেন তাদেরও ভূমিকা  থাকা উচিত নতুন সহনশীল বাংলাদেশ নির্মাণে। এই মুহূর্তে আক্রমণ আক্রমণ খেলা সবাই বন্ধ করা জরুরি। যারা রাজনৈতিক দলে আছেন অলরেডি এবং যারা দল করবেন- দুই পক্ষেরই এবং সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনকে সাহায্য করেন।’

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - বিনোদন