বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন সাকিব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গেল বছর মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেংকারিতে সবধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ হন অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এর পর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল আল হাসানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। তার সঙ্গে সবধরনের চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে উবার, ইউনিলিভারসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। ফলে বিপুল আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তির ১৭ ক্রিকেটারের একজন ছিলেন। এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে মাসে ৪ লাখ টাকা করে বেতন পেতেন তিনি। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চুক্তি বাতিল হয়ে যায় তার।

এরপরই সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান উবার। এখন কেবল কাগজপত্রের কাজগুলো সারার পালা। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ইউনিলিভার ও একটি পাঁচতারা হোটেলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তার। তাদেরও সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রকট।

সর্বোপরি, গ্রামীণফোনের সঙ্গে সদ্য করা সাকিবের বড় অঙ্কের চুক্তিটাও ভেস্তে যাচ্ছে। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সময় এ চুক্তি করেন তিনি। ফলে বিসিবির রোষানলে পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বোর্ডের নিয়ম ভেঙে চুক্তি করেন বলে কথা শুনতে হয় তাকে।

সাকিব শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আছেন আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের সঙ্গে। নিষিদ্ধ ক্রিকেটারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রাখবে কি না, ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। কানাঘুষা চলছে, শিগগির তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন মিটিয়ে ফেলছে তারা। সব মিলিয়ে এ একটা বছর আর্থিক লোকসানেই কাটবে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।

দুই বছর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান। তবে তা গোপন রাখেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে। এর দায়ে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।

যদিও প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটা ছিল দুই বছর। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছর শিথিল করা হয়। এ সময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে। আর কোনো দুর্নীতিতে না জড়ালে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।