বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে ব্যাটে-বলে শীর্ষে রয়েছেন যারা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

গত ১৯ জানুয়ারি মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। দেখতে দেখতে ২৩তম দিন পার হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৮টি শেষ হয়েছে। ঢাকার পর সিলেট ঘুরে বিপিএল আবার ফিরে আসে ঢাকায়। ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব শেষে বিপিএলে এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। টানা আট ম্যাচে হারের রেকর্ড গড়ে সবার আগে আসর থেকে ছিটকে গেছে তারুণ্য নির্ভর দল দুর্দান্ত ঢাকা।

টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৯টি করে ম্যাচ খেলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি করে ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। এছাড়া ৭টি করে ম্যাচ খেলেছে খুলনা টাইগার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৭ ম্যাচ থেকে ৫ জয় ও ২ হারে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তৃতীয় স্থানে  রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তারা ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। এদিকে, ৮ ম্যাচ থেকে ৪ হার ও সমান জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে বন্দর নগরীর দল ফরচুন বরিশাল।

সিলেট পর্ব শুরুর আগে টেবিলের শীর্ষে থাকে খুলনা টাইগার্স রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তারা ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ হারে পেয়েছে ৮ পয়েন্ট। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে গতবারের রানার্সআপ সিলেট স্টাইকার্স। তারা ৯ ম্যাচে ৩ জয় ও ৬ হারে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর টেবিলের তলানীতে রয়েছে তারুণ্যে গড়া দল দুর্দান্ত ঢাকা। তারা ৯ ম্যাচে ১ জয় ও ৮ হারে পেয়েছে ২ পয়েন্ট।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চট্টগ্রাম পর্ব। তার আগে দেখে নেয়া যাক ব্যাট ও বল হাতে কারা রয়েছেন শীর্ষ ৫ এ।

ব্যাটিংয়ের শীর্ষ পাঁচে যারা
ব্যাট হাতে শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছেন ৮ ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়া দুর্দান্ত ঢাকার নাঈম শেখ। এরপরই রয়েছেন রংপুরের হয়ে মাঠ মাতানো পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। এ দুজন ছাড়া বাকি তিনজনই বাংলাদেশের।

  • দুর্দান্ত ঢাকার নাঈম শেখ ৯ ম্যাচে ১২৭.২৭ স্ট্রাইকরেটে ২টি হাফসেঞ্চুরিতে ২৬৬ রান নিয়ে রয়েছেন রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে।  তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৪ রান।
  • রংপুর রাইডার্সের বিদেশি রিক্রুট পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ৬ ম্যাচে ১১৪.৬১ স্ট্রাইকরেটে ২টি হাফসেঞ্চুরিতে ২৫১ রান নিয়ে রয়েছেন রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৬২ রান।
  • তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলা বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহিদ ‍হৃদয়। তিনি ৭ ম্যাচে ১৫১.৫১ স্ট্রাইকরেটে সংগ্রহ করেছেন ২৫০ রান। যেখানে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ১০৮ রান। এবারের আসরে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।
  • চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফরচুন বরিশালের বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিনি ৮ ম্যাচে ১২৪.৪৭ স্ট্রাইকরেটে সংগ্রহ করেছেন ২৩৯ রান। যেখানে রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৬৮।
  • খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয় রয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম স্থানে। তিনি ৭ ম্যাচ খেলে ১২০ স্ট্রাইকরেটে সংগ্রহ করেছেন ২২৮ রান। তার সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৬৭ রান।

বোলিংয়ের শীর্ষ পাঁচে যারা
ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়ের শীর্ষ পাঁচে জায়গা পেয়েছেন চারজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। তারা হলেন- শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, তানভির ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। একমাত্র বিদেশি হিসেবে আছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইমরান।

  • আসর থেকে সবার আগে বিদায় নেয় দুর্দান্ত ঢাকার বাঁ-হাতি পেসার ও এবারের আসরে এখন পর্যন্ত প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান শরিফুল ইসলাম রয়েছেন টেবিলের শীর্ষে। তিনি ৯ ম্যাচ থেকে ১৬.১৭ গড়ে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তার সেরা বোলিং ২৪ রানে ৪ উইকেট।
  • দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের মাহেদি হাসান। তিনি ৮ ম্যাচ থেকে ১৩.১৬ গড়ে ১২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তার সেরা বোলিং ১১ রানে ৩ উইকেট।
  • চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের স্পিনার তানভির ইসলাম রয়েছেন টেবিলের তিনে। তিনি ৭ ম্যাচে ১২.৫৪ গড়ে ১১ উইকেট পকেটে পুরেছেন। তার সেরা বোলিং ১৩ রানে ৪ উইকেট।
  • চতুর্থ স্থানে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ৭ ম্যাচে ১৪.৪৫ গড়ে তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট। সেরা বোলিং ১৬ রানে ৩ উইকেট।
  • একমাত্র বিদেশি হিসেবে পঞ্চম স্থান দখল করেছেন ফরচুন বরিশালের বিদেশি রিক্রট পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইমরান। তিনি ৬ ম্যাচে ১৮.৮০ গড়ে তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তার সেরা বোলিং ২৯ রানে ৪ উইকেট।