বিধানসভায় মমতার সঙ্গে একান্তে কী কথা বললেন ঋতুপর্ণা?

দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই শেষ গতকাল রবিবার । রাজ্যের মন্ত্রী এবং মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭১ বছর বয়সে।

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সোমবার বিধানসভায় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান পারিবারিক বন্ধু অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ঋতুপর্ণার। এমনকী উত্তর কলকাতার বিধায়কের সাথেও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। সোমবার শেষ দেখা দেখতে যান বিধানসভায়।

সোমবার ঋতুপর্ণা যখন বিধানসভায় যান, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ঋতুপর্ণাকে বিধানসভার ভিতরে ডেকে নিয়ে যান ‘দিদি’। দু’জনে মিনিট পাঁচেক কথাও বলেন।

বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা জানান, ‘শ্রেয়া, সাধনদা আমার পরিবার। আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। খুবই বড়মাপের মানুষ ছিলেন। শেষদিন অবধি মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। ওর চলে যাওয়া একটা শূন্যতা তৈরি করল। আমার কাছে এই ক্ষতি ব্যক্তিগত, কারণ এই মমতা, ভালোবাসা আর তো কারও কাছে পাব না। শুধু প্রার্থনা করি উনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।’

মমতা ব্যানার্জিরর সাথে কী কথা হল সে বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, তিনি প্রথমবার বিধানসভায় এলেন বলে ‘দিদি’ তাকে ভিতরে ডেকে নেন ঘুরে দেখার জন্য। সঙ্গে ঋতুপর্ণা জানান, মুখ্যমন্ত্রীরও খুব মন খারাপ। অনেকদিন পর দেখা দু’জনের। তাই বসে একটু কথা বলেই চলে আসেন। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করতে চান কি না প্রশ্ন করা হলে ঋতুপর্ণার উত্তর, ‘না এরকম কোনো কথা হয়নি।’

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন