বিদ্যুতায়িত হয়ে গাভী হারিয়ে গুরুত্বর আহত মালিক

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশন এলাকায় গাভী ও বাছুরকে ঘাস খাওয়াতে এনে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই গুরুত্বর আহত হয়েছেন গাভী মালিক সেফালি বেগম। এসময় প্রায় ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের তার শখের গাভীটি মারা গেছে। রবিবার দুপুর দু’টার দিকে রেলওয়ের ক্যারেজ বিভাগের সামনে ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দুষছেন স্থানিয়রা।

তবে রেলকর্তারা বলছেন, রেলওয়ে এলাকার মধ্যে গবাদী পশু প্রবেশ করানো আইনত অপরাধ।

গাভী মালিকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার মা একটি গাভি ও বাছুরকে ঘাস খাওয়াতে স্টেশনের ইয়ার্ড এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্যারেজ বিভাগ অতিক্রম করার সময় সামনে থাকা গাভীটি বৈদ্যুতায়িত হয়। ঠিক ওই সময় বাছুরটির দঁড়ি হাতে নিয়ে তার মা হাঁটছিলেন গাভীটির সামান্য পিছনে। এসময় তার মা’ও (সেফালি বেগম) বৈদ্যুতায়িত হয়। কিন্তু বাছুরটি দৌঁড় দিলে দড়ি হাতে তার মা পিছনে সড়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান। আহত অবস্থায় তার মাকে উদ্ধার করে স্থানিয় চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রায় একঘন্টা পর রেলওয়ে বিদ্যুত বিভাগের লোকজন এসে ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এঘটনায় ক্যারেজ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বছর আগে থেকে রেলওয়ে ইয়ার্ড কলোনী এলাকায় পরিত্যক্ত ও ফাঁকা জায়গায় স্থানিয় লোকজন গরু, ছাগল ও ভেড়াসহ অন্যান গবাদী পশুকে ঘাস খাওয়ান। এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আজ যে দূর্ঘটনা ঘটেছে তা এখানকার দায়িত্বরতদের উদাসীনতার করন। শুধু তাই নয় এ পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারতো।

তবে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, রেলওয়ে এলাকার মধ্যে গবাদী পশু প্রবেশ করানো আইনত অপরাধ। কিন্তু দির্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজন রেলওয়ের জায়যায় গবাদী পশুকে খাইয়ে আসছেন। মানবিকতার কারনে কিছু বলা হয় না।

সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়নি।

স/রি