বিদেশি বিনিয়োগের জটিলতা কাটাতে কর্তৃপক্ষের বৈঠক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিদেশি বিনিয়োগের জটিলতা কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বিনিয়োগের পথে বাধা নির্ণয় ও তা সমাধানের পথ বের করার লক্ষ্যে ডিএসই রোববার সংশ্লিষ্ট ব্রোকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ডিএসই সূত্রে সোমবার এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকটিও অনুষ্ঠিত হয় ডিএসইতে।

বৈঠকে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ ও এমটিবি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ব্রোকারহাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীরা বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি বাধার কথা তুলে ধরেন। এর অন্যতম হচ্ছে- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা না করা। অন্যটি লেনদেন সেটেলমেন্ট।

ব্রোকারহাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীরা জানান, ব্রোকারহাউজের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তথ্য-পরিসংখ্যান, গবেষণা রিপোর্ট বিদেশি ফান্ড ম্যানেজারের কাছে দেওয়ার পরও তারা নিজেরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ দেখান।

তাদের নিজস্ব কিছু জিজ্ঞাসা থাকে যেগুলো সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে জেনে পরিষ্কার হতে চান। কিন্তু বেশির ভাগ কোম্পানি এতে সাড়া দেয় না। কোনোভাবেই তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে মিটিংয়ের সময় দেয় না।

ব্রোকারহাউজের শীর্ষ নির্বাহীরা বলেন, কোম্পানিগুলো সহযোগিতা করলে বিদেশি বিনিয়োগ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে।

আর ডিএসই মনে করছে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে বাজারের বর্তমান তারল্য সংকট অনেকটা কাটানো যাবে। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। তাতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরেকটু সক্রিয় হবে। তাতে বাড়বে স্থানীয় বিনিয়োগও।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারি ছুটির দিন ভিন্ন হওয়ায় লেনদেন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার এখানে যে শেয়ার কেনা-বেচা হয় তার সেটেলমেন্ট হয় সোমবার। শুক্রবার ও শনিবার বাংলাদেশে ছুটি।

সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে আরো মত দিয়েছেন, রোববার অন্যান্য দেশে ছুটি থাকে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে না। তাই স্যাটলমেন্টের আগে তাদের কোনো নির্দেশনা থাকলে সেগুলো কাজে লাগানো যায় না।

 

সূত্র: রাইজিংবিডি