বিদেশগামীদের করোনা সনদ দিতে ২১ বেসরকারি ল্যাব অনুমোদন

বিদেশগামীদের করোনাভাইরাসের সনদ দিতে আরও ২১টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে আরটি-পিসিআর ল্যাব থেকে করোনা নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবেন বিদেশগামীরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতামতের প্রেক্ষিতে ২১টি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও আরটি-পিসিআর ল্যাবকে কোভিড পরীক্ষা করে সনদ প্রদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

হাসপাতালগুলোকে কিছু শর্ত আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো- বিদেশগামীদের পরীক্ষা বাবদ সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা গ্রহণ করা যাবে। কোনো বেসরকারি ল্যাব কোনো বিমান সংস্থার সাথে করোনা সনদ প্রদানের জন্য বাধ্যতামূলক হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। পরীক্ষা এবং সঠিক রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি যাচাই করে বিমান ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে এবং বিমান ছাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। কোনো ক্রমে ৭২ ঘণ্টার আগে নমুনা টেস্ট করা যাবে না।

প্রতিষ্ঠান ও আরটি-পিসিআর ল্যাবগুলো হলো- ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার পরিবাগে নোভাস ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস লিমিটেড, গাজীপুরের টঙ্গীতে ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার গ্রিন রোডে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার আবদুল্লাহপুরে আইচি হাসপাতাল, বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড রাফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, ঢাকার মিরপুরে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস, মিরপুরে আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, ঢাকার শ্যামলীতে হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, ঢাকার শান্তিনগরে বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পশ্চিম পান্থপথে ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেড, সোবহানবাগে বায়োমেড ডায়াগনস্টিক, রামপুরায় ডাইনামিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ, পান্থপথে বিআরবি হসপিটাল লিমিটেড, তেজগাঁওয়ে সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, মালিবাগ মোড়ে প্রাইম ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, উত্তর বাড্ডায় প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, মিরপুরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি-বিআইএইচএস, সিলেটের উপশহর পয়েন্টে সীমান্তিক প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে নিজাম রোডে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রা.) লিমিটেড এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল।

আলাদা নমুনা কালেকশন বুথ স্থাপন করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিদর্শন দ্বারা মান উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশগামী যাত্রীদের সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে একটি হটলাইন নম্বর চালু করে তা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্টে কোনো রকম ভুল হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ