বিটিভির সাবস্টেশন স্থাপনে দুর্নীতি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সাবস্টেশন স্থাপন, বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মেরামত ও সংস্কার কাজে অর্ধকোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনীর আহমদসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। কোয়ালিটি পাওয়ার টেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে দেড় বছর বিটিভিতে অভিযান চালায় দুদক। এতে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে নিয়মিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। গতকাল দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিটিভির সাবস্টেশন নির্মাণ, সংস্কারে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর কমিশনের অনুমোদনক্রমে প্রকাশ্য অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য বিটিভির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তা বিটিভির মহাপরিচালককে চিঠি পাঠিয়ে ৮ ধরনের নথিপত্র তলব করেছেন। এসব নথিপত্র আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে- বিটিভির দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিটিভির বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মেরামত ও সংস্কার কাজের রেকর্ডপত্র; কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র ভিত্তিক অনুমোদিত প্রাক্কলন, বরাদ্দপত্র ও প্রশাসনিক অনুমোদনের নথিপত্র; পত্রিকায় প্রকাশিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র সিডিউল ও প্রাক্কলিত ব্যয়ের অনুমোদিত কপি; তুলনামূলক বিবরণী ও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র; বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে সম্পাদিত কাজের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্তৃক কাজ সম্পাদনের/বিল পরিশোধের প্রত্যয়ন; টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ের এবং বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের কাজের তদারকি এবং বিল প্রদানের সুপারিশকারী প্রকৌশলীর নাম ও ঠিকানা প্রভৃতি। লট-৩ (জেনারেটর ক্রয়)-এর চুক্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, দরপত্র সিডিউল, মূল্যায়ন প্রতিবেদনের কপি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৫ মে মনীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপকেন্দ্রের কাজ না করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়ার মাধ্যমে ৪০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।