বিজয় দিবসে ঘুরে ঘুরে চেতনা জাগ্রত হচ্ছে রাজশাহীর শিশুদের মাঝে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। বিজয়ের গৌরবে গৌরবান্বিত বাঙালি। বাঙ্গালির প্রিয় দিবসটি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এই দিনে ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে যুদ্ধে জয় লাভ করে বাঙালি। দেশের মানুষের কাছে আনন্দের দিন এটি। প্রতি বছর এই দিনটি বিজয়ের চেতনা নতুন করে জাগরিত করে বাঙ্গালির কাছে। হাজারও রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয় দিবস পালন করে বাঙালি। বিজয় দিবসের এই দিনে তাই নানা কিছু হৃদয়ে ভেসে উঠে। এ চেতনা যেন শিশুদের মাঝে জাগ্রত থাকে সে জন্য বাবা-মায়েরা দিবসটিতে তাদের নিয়ে ঘুরেছেন। ঘুরে ঘুরে, দেখে দেখে যেন বিজয়ের চেতনা জাগ্রত হয়- এটাই তাদের উদ্দেশ্য।

বিজয়ে আনন্দকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছিল আদিলা। তার বাবা খায়রুল আনাম রাজশাহী কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তা। খায়রুল আনাম মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন বিজয়ের এই দিনে। তিনি বলেন, সকাল বেলা রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে সকল শহীদের স্মরণে ফুল দেন। তিনি একজন বাবা তার মেয়ের হাত দিয়ে ফুল দেয়; যাতে তার মধ্যে চেতনা তৈরি হয়। যারা জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করছে তারা কে ছিলেন তা তাকে জানানো হয়। কেনো আমরা এই দিনটাকে এভাবে উদযাপন করি তাও জেনে যায় মেয়েটি।

জুয়েল রানা হক গ্রুপ’র কর্মকতা। তার মেয়ে স্নিগ্ধাকে নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। হাজার ব্যস্ততার মধ্যে আজকের দিনটিকে নিজের মেয়েকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যস্ততার মধ্যে বের হওয়া হয় না। তবে আজকে আমাদের বিজয় দিবস সম্পর্কে নিজের মেয়েকে জানাতে চাই কারা ছিলেন; যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন। কেনো আমরা এ দিনটাকে পালন করি, কেন আমরা তাদের স্মরণে ফুল দিয়ে থাকি- মেয়ে যাতে বড় হয়ে তাদের অবদান বুঝতে পারে এবং সম্মান করে সে জন্যই বের হয়েছি।

সাবিদ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র। বাবা-মা সময় দিতে না পারলেও চাচা মুনিরুল জামানের সাথে এসেছে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে। সকাল বেলা চাচার সাথে এসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছে, গালে এঁকেছে বাংলাদেশের পতাকা। আসার কারণ জানা নেই তার। তবে লাল-সবুজের পতাকা ভাল লাগে, ভাল লাগে এদিনে ঘুরতে বলে জানায় শিশুটি। চাচা তাকে সকাল হতে মোটরসাইকেলে করে ঘুরিয়েছে নানা জায়গায়। মাথায় পরেছে বিজয়ের পতাকা, নিজের মধ্যে যেনো এক অন্যরকম ভাল লাগছে তার। মুখে বলতে না পারলেও ভাল লাগর অনুভূতি যে তার চোখেমুখে।

এখনকার দিবস পালনকে রাজনৈতিক বলে মনে করেন ফয়সাল ইসলাম। তিনি বলেন, ৯০’র সময়ে আমরা স্কুল মাঠে নানা ধরনের খেলা খেলেছি। সকালে বাবার সাথে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়েছি। কিন্তু আজকাল’কার দিনে সবকিছু মনে হচ্ছে শুধু রাজনৈতিকভাবে হচ্ছে। বাচ্চাদের মধ্যে বিজয়ের চেতনার জায়গাতে ব্যক্তি পরিচয়কে তুলে ধরা হচ্ছে।

 

স/শা