নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিজয় ও গৌরবের মাস। পূর্তির ৪৯ তম বছর।
বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক আনন্দের দিন। এমনি এক দিনের প্রতীক্ষায় কেটেছে বাঙালির হাজারো বছর। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা পূর্ণতা পায় ১৬ ডিসেম্বর।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পরে স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে এই দিনে বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের স্বাদ নিয়ে আবারো সেজেছে বাংলাদেশ। সেই বিজয়ের দিনে বিজয়ের সাজে সেজেছে রাজশাহী। ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয় বিজয়ের উল্লাসের উচ্ছ্বাস রাজশাহীতে।
বিজয়ের মাসে সারা রাজশাহী শহরকে সাজানো হয়েছে নবরূপে। নীল, লাল, হলুদসহ নানা বাতিতে ঝ্বলমল করছে রাজশাহী। সাজানো হয়েছে শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো। একইসঙ্গে সাজানো হয়েছে নগর ভবন, রাবি, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, রাজশাহী টিটিসি, রাজশাহী মহিলা টিটিসি, রাজশাহীর রাজপথ, সরকারি ভবন, ব্যাংক বীমা, অফিস আদালত, স্কুল-কলেজসব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কের মোড়ে মোড়ে আলোক সজ্দিজা দিয়ে সাজানো। রাজশাহীর সড়কগুলোতে বর্ণিল আলোয় সাজানো হয়েছে রাজপথ।
সারা শহরে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকায় ছেয়ে গেছে। বিজয়ের মাসের প্রথম থেকেই রাজশাহীতে ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতা শহর ঘুরে বিক্রি করে এ পতাকা। রাস্তায় নামলেই চোখে পড়বে রিকশা, বাস, প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি সবখানেই উড়ছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বিজয়ের দিনে শিশু থেকে বয়বৃদ্ধরাও ছুটে চলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে সম্মান দেখাতে।
তরুণ-তরুণী, শিশু, বয়স্কদের গালে আঁকা থাকবে মহান স্বাধীনতার, বিজয়ের লাল সবুজ পতাকা। প্রত্যেকেই সেজেছে নতুন সাঝে, নতুন পোশাকে। মনে বিজয়ের আনন্দ নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছে সবাই।
তবে এ স্বাধীন দেশের এ বিজয়ের উৎসব, আমেজ শুধু রাজশাহী শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে এ বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করছে দেশের সকল মানুষ।